ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্য সরকার হোক কিংবা কেন্দ্রীয় সরকার দেশের মেয়েদের পড়াশোনা শিখিয়ে স্বনির্ভর হতে অনেকটাই সাহস এবং সহায়তা করে আসছে একের পর এক প্রকল্প। তেমনই পশ্চিমবঙ্গে মেয়েদের উৎসাহ জোগাতে এগিয়ে এসেছে বাংলার কন্যাশ্রী প্রকল্প। এই প্রকল্পের সুবিধা অর্জন করেছে লাখেরও বেশি ছাত্রীরা। তাইতো বিশ্বের দরবারেও এই প্রকল্প প্রশংসিত হয়েছে।
সম্প্রতি সেই প্রকল্পের সুবিধাকে সামনে রেখেই রাজ্য সরকার মেয়েদের ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য এবং স্বনির্ভর হওয়ার জন্য আরও এক আকর্ষণীয় প্রকল্প জনসমক্ষে হাজির করেছে সরকার। তবে বলে রাখা ভালো, এই প্রকল্পের সুবিধা পশ্চিমবঙ্গ এর মেয়েরা নয়, পাচ্ছে অসমের মহিলা পড়ুয়ারা। গত বুধবার অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এই প্রকল্পের ঘোষণা করেন। মূলত বাল্যবিবাহ রুখতেই এই পদক্ষেপ করতে চলেছে সরকার। প্রকল্পটির নাম ‘মুখ্যমন্ত্রী নিযুত ময়না’। প্রথম পদক্ষেপে প্রায় ১০ লাখ মেয়েকে এই প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
মেয়েদের ভবিষ্যৎ গঠনে দারুণ উদ্যোগ সরকারের
এদিনের সংবাদিক বৈঠক সূত্রে জানা গিয়েছে, মাসিক স্টাইপেন্ড হিসাবে টাকা তুলে দেওয়া হবে মহিলা পড়ুয়াদেরকে। মোট ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে এই প্রকল্পে। একাদশ শ্রেণি থেকে শুরু করে স্নাতকোত্তর পর্যন্ত পড়ুয়াদের আনা হবে এই প্রকল্পের আওতায়। মাসিক ১ হাজার টাকা দেওয়া হবে একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য, কলেজ পড়ুয়াদের জন্য ১২৫০ টাকা এবং স্নাতকোত্তর পড়ুয়াদের জন্য দেওয়া হবে মাসিক ২৫০০ টাকা। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে অসমের প্রায় ১০ লক্ষ ছাত্রী উপকৃত হবেন।
অর্থাৎ হিসেবের পরিসংখ্যান করলে দেখা যাচ্ছে কোনও ছাত্রী একাদশ শ্রেণিতে নাম নথিভুক্ত করলে দ্বাদশ শ্রেণি শেষ হওয়া পর্যন্ত ২০,০০০ টাকা পাবেন। অন্যদিকে তিন বছরের গ্র্যাজুয়েশন কোর্স ধরলে মোট ৪৫,০০০ টাকা দেওয়া হবে। আর দু বছরের স্নাতকোত্তর বা B.Ed কোর্স করলে ৬০,০০০ টাকা দেওয়া হবে। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট ১.২৫ লাখ টাকার মতো পেতে পারেন ছাত্রীরা।
কারা কারা এই প্রকল্পের অযোগ্য?
- রাজ্যের মন্ত্রী এবং বিধায়কের মেয়েরা এই প্রকল্পের জন্য আবেদন করতে পারব না।
- যে সকল ছাত্রীরা সরকারের দেওয়া অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পান, তাঁরা এই প্রকল্পের আওতায় অর্থ পাবেন না।