ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে শরিকদের সমর্থনে তৃতীয়বার দিল্লির ক্ষমতা দখল করল মোদি সরকার। আগামী ২৩ জুলাই মোদি ৩.০ সরকারের প্রথম পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করতে চলেছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। প্রতি বছরের ন্যায়, এই বছরেও নয়া মোদি সরকারের এই বাজেটকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা মধ্য ও নিম্নবিত্তদের নানা প্রত্যাশা। কারণ অনুমান করা হচ্ছে, এই বাজেটে মধ্যবিত্তদের জন্য কর ছাড়ের পাশাপাশি নারী ক্ষমতায়ন, কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং কর্মসংস্থান নিয়ে এবার বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে মোদি সরকার। সঙ্গে কপাল খুলতে চলেছে কেন্দ্রীয় কর্মীদের।
সুদের হার নিয়ে বড় ঘোষণা কেন্দ্রের
সম্প্রতি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড সহ ১৩ টি তহবিলে চলতি মাস থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ত্রৈমাসিকের সুদের হার ঘোষণা করেছিল কেন্দ্রীয় সরকারের অর্থ মন্ত্রকের বাজেট ডিভিশন। বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মীদের গচ্ছিত অর্থের ওপর জুলাই, আগস্ট এবং সেপ্টেম্বর মাসের জন্য ৭.১ শতাংশ হারে সুদ দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। আর এবার আভাস মিলছে নতুন পেনশন স্কিম বা NPS-এর নিয়মে বিরাট বদল আনতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্দরমহলের রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে NPS এর আওতায় কর্মীদের, তাঁদের শেষ বেতনের ৫০ শতাংশ হারে পেনশন দেওয়ার ঘোষণা করা হতে পারে এবারের বাজেটে।
চলতি বাজেটে বড় চমক কেন্দ্রের!
সূত্রের খবর, কোভিডকাল থেকে বকেয়া ১৮ মাসের DA মেটানোর দাবিতে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা। শুধু তাই নয়, নয়া জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে জোর তরজা চলছে কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের মধ্যে। এমনকি সেই তরজায় লেগেছে রাজনৈতিক রং। চলতি বছর লোকসভা ভোটের আগে NPS নিয়ে সরব হয়েছিলেন বিরোধীরাও। তবে এবার যাতে বিরোধীরা এই প্রসঙ্গ নিয়ে খুব বেশি জল ঘোলা না করতে পারে তার জন্য এক বিরাট পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন কেন্দ্রীয় কর্মচারীরা নয়া জাতীয় পেনশন স্কিম এবং পুরোনো পেনশন ব্যবস্থা নিয়ে দ্বন্দ্ব চালাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গে ফের বাড়ছে গরম! এতটা বৃদ্ধি পাবে তাপমাত্রা, আজ ৭ জেলায় বজ্রঝড় সহ বৃষ্টি
আসলে পুরনো পেনশন ব্যবস্থায়, কর্মজীবনের শেষ পাওয়া বেতনের সঙ্গে ৫০ শতাংশ পেনশন পাওয়া যায়। সেইসঙ্গে মেলে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধাও। কিন্তু নয়া পেনশন ব্যবস্থায় কর্মজীবনের শেষ পাওয়া বেতনের সঙ্গে ৩৫ শতাংশের মতো পেনশন বাবদ পাওয়া যায়। তাও সেই ব্যাপারে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কারণ পুরোটাই নির্ভর করে অর্থনৈতিক বাজারের ওপর। এছাড়াও কত টাকা জমানো হয়েছে, কত বছরে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন, কী ধরনের বিনিয়োগ করা হয়েছে, বিনিয়োগ থেকে কত আয় হয়েছে এই সমস্ত বিষয়গুলির উপর নয়া পেনশন প্রকল্প নির্ভর করে। যা পুরোনো পেনশন প্রকল্পে কোনোটাই নেই।