ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের সমস্ত সরকারি কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্য প্রকল্প চালু করেছিল সরকার। কিন্তু এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের মধ্যেও উঠে এসেছে একাধিক অভিযোগ। এবং সেই অভিযোগ গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল বিল জমা দেওয়ার পরেও সঠিক সময়ে টাকা না পাওয়া। আর তা নিয়ে একাধিক অভিযোগ জানান হলেও কোনো পদক্ষেপ করা হয়নি।
আসলে কর্মচারীদের জমা দেওয়া বিল প্রথমে যায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সচিবালয়ে। তারপর সচিবালয় থেকে অনেকসময় বিলের ফাইল পর্যালোচনার জন্য অর্থ দপ্তরের মেডিক্যাল সেলে পাঠানো হয়। মেডিক্যাল সেল বিলগুলি এতদিন বিশদ পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্যদপ্তরে পাঠাত। তবে, স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে কোনো চিকিৎসক না থাকায় টাকা পেতে অনেক সময় লেগে যেত। তবে এবার সেই জটিল সমস্যা সমাধান করতে ময়দানে নেমেছে সরকার।
সরকারি কর্মীদের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে বড় বিজ্ঞপ্তি
এই প্রসঙ্গে গত ২৪ জুলাই রাজ্য অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয় বাংলার সকল সরকারি কর্মী এবং পেনশনভোগীদের জন্যে। যেখানে জানানো হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ হেলথ স্কিমে আরও বেশ কিছু হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে। এবং বলা হয়, স্বাস্থ্য প্রকল্প পরিচালনার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেডিক্যাল সেলে এবার থেকে একজন চিকিৎসককে রাখা হবে। মূলত, রাজ্য সরকারের চাকরি থেকে অবসর নেওয়া একজনকে চুক্তির ভিত্তিতে ওই পদে রাখা হবে।
সেলে বসানো হবে চিকিৎসক
সূত্রের খবর এক বছরের চুক্তির ভিত্তিতে তাঁকে নিয়োগ করা হবে। সংশ্লিষ্ট সেলে একজন চিকিৎসক থাকলে বিল মেটানোর কাজে অনেকটাই গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। স্বাস্থ্য প্রকল্পের মেডিক্যাল সেলে এতদিন কোনও চিকিৎসক ছিলেন না। তাই অর্থ দপ্তরও সরাসরি চিকিৎসক রাখার বন্দোবস্ত করছে। ফলত, সরকারি কর্মীদের চিকিৎসা খরচের বিল জমা পড়ার পর তাতে কোনও জটিলতা থাকবে না।
প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য প্রকল্পের অধীনে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ‘ক্যাশলেস’ পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ দিয়ে থাকে রাজ্য সরকার। ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসার খরচ হলে হাসপাতালে ওই কর্মীকে কোনও বিল মেটাতে হয় না। ২ লক্ষ টাকার বেশি বিল হলে সেটা প্রকল্পের সুবিধাভোগীকে মিটিয়ে দিতে হয়। এরপর সেই বিল জমা করতে হয় সরকারের কাছে।