ভুলেও ফেলবেন না মাছের আঁশ, ঘরে বসেই আয় হবে মোটা টাকা! লাভ ছাড়া লস নেই এই ব্যবসায়

Published on:

Fish Scales

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: নিত্যদিনের কাজের ব্যস্ততায় আমরা এমন অনেক জিনিস অপ্রয়োজনীয় বলে ডাস্টবিনে ফেলে দিই। কখনও বা হয়তো রাস্তার ধারের কোনো আবর্জনা স্তুপে। কিন্তু সেই অপ্রয়োজনীয় জিনিস যদি বাড়িতে নিয়ে আসে বস্তা ভর্তি টাকা পয়সা, তাহলে? নিশ্চয়ই অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এও কি সম্ভব? অবশ্যই সম্ভব। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে তাহলে সম্পূর্ণটা জেনে নিন বিস্তারিত।

মাছ প্রিয় বাঙালি প্রতিদিন মাছের বাজারে গিয়ে ব্যাগ ভর্তি মাছ নিয়ে আসেন। এবং দোকানে মাছ কাটতে দেওয়ার সময় আমরা বলে থাকি মাছের আঁশ যেন ভালোভাবে পরিষ্কার করা থাকে। কিন্তু জানেন কি এই মাছের আঁশেই লুকিয়ে রয়েছে কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন? কোনো রসিকতা নয়। বাস্তবে এমনটা সত্যিই হয়ে থাকে। ইতিমধ্যেই এই মাছের আঁশ বিক্রি করে বেশ কিছু মানুষ অর্থ উপার্জনের রাস্তা খুঁজে নিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে সম্ভব?

WhatsApp Community Join Now

বিভিন্ন ব্যসায়ীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় অনেক মাছের ব্যবসায়ীই এখন মাছের আঁশ ব্যবসায়ের সঙ্গে জড়িত। বস্তা ভর্তি ভর্তি এই মাছের আঁশগুলি প্রথমে ভাল করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হয়। তারপর সেগুলি শুঁকিয়ে এলে পুনরায় আবার বস্তা বন্দি করে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কলকাতার উদ্দেশ্যে।

কী করা হয় এই শুকনো আঁশগুলি দিয়ে?

জানা গিয়েছে সেই শুকনো আঁশ ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রসাধনী সামগ্রি থেকে শুরু করলে ওষুধ ও সার ব্যবহারের কাজে লাগানো হয়। আসলে বৈজ্ঞানিক সূত্রে জানা গিয়েছে মাছের আঁশের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কোলাজেন পাওয়া যায়। সেই কারণে এটি খাদ্য, ওষুধ, ফুড সাপ্লিমেন্ট ও কসমেটিকস শিল্পে ব্যবহার করা হয়। এই কোলাজেন পণ্য শুধু ভারতে নয়। বিক্রি করা হয় দেশের বাইরেও। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারেও এর কদর অনেক।

আরও পড়ুনঃ টেলিকম দুনিয়ার সবথেকে সস্তার প্ল্যান লঞ্চ! ১ টাকায় অফুরন্ত সুবিধা দেবে VI

বিভিন্ন বাজারে মাছ কাটেন যাঁরা, তারাও এই মাছের আঁশ জমিয়ে রাখেন। পরবর্তী সময়ে তা বিক্রি করেন ব্যাপারীদের কাছে। এরপর সেই আঁশগুলোকে ব্যাপারীরা ধুয়ে পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে ঝরঝরে করেন। এভাবে বিক্রি করা হয় পাইকারী ব্যবসায়ীদের কাছে। প্রতি কেজি বস্তায় প্রায় ৪০-৫০ টাকা উপার্জন করা যায় খুব সহজেই।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন