দেবপ্রসাদ মুখার্জী: ভাগ্য যে কার কখন বদলে যায়, তা কেউ বলতে পারেনা। এই ধরুন মধ্যপ্রদেশের এক শ্রমিকের কথা। তিনি যে মাত্র ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে কোটিপতি হয়ে যাবেন, তা তিনি নিজেও হয়তো ভাবতে পারেননি। না, এটা কোনো লটারি জেতার খবর নয়। বরং এই খবরটি আপনাকে অনুপ্রেরণা দেবে। কারণ, সঠিক সময়ে, সঠিক স্থানে বিনিয়োগ করলে যে লাভ নিশ্চিত, তা এই শ্রমিকের কীর্তি জানলেই বুঝতে পারবেন।
মধ্যপ্রদেশের পান্না জেলার এক খনি শ্রমিক স্বামীদিন পাল মাত্র ২০০ টাকা বিনিয়োগ করে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন। স্বামীদিন পাল নামের ওই শ্রমিক সাধারণত খনিতে কাজ করেন। সেই সূত্রেই পান্না ডায়মন্ড অফিসে তাঁর যাতায়াত ছিল। সেই ডায়মন্ড অফিস থেকে ২০০ টাকায় আট বাই আট বর্গমিটার আয়তনের একটি ছোট খনি লিজ নেন। সেখানে তিনি ও তার সঙ্গীরা দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে হীরার সন্ধান করতে থাকেন। শেষমেষ তাঁদের হাতে আসে এক অমূল্য সম্পদ।
আড়াই কোটি টাকার হীরা পেলেন শ্রমিক
স্বামীদিন ও তাঁর সঙ্গীরা ৪ মাস ১২ দিন পর, তাদের কষ্টের ফল পেয়েছেন। খনন কাজের সময় তাঁরা একটি ৩২.৮০ ক্যারেটের উজ্জ্বল হীরা খুঁজে পান। এত বড় এবং মূল্যবান হীরা পাওয়া সত্যিই একটি বিরল ঘটনা। স্বামীদিন পাল এই হীরাটি পান্না ডায়মন্ড অফিসে জমা দেন। পরবর্তীতে এটি নিলামে তোলা হবে বলে জানানো হয়েছে। হীরার প্রাথমিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২ থেকে ২.৫ কোটি টাকা। নিলামে এই দাম আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান।
কোটিপতি হয়ে কি করতে চান খনি শ্রমিক?
এই হীরা পাওয়ার পর স্বামীদিন পাল জানান, তিনি নিলামের টাকায় প্রথমে কিছু জমি কিনতে চান। এরপর, তার সন্তানদের ভবিষ্যৎ শিক্ষার জন্য বাকি টাকা খরচ করবেন বলে তাঁর পরিকল্পনা রয়েছে। তাঁর এই সাফল্য শুধু তাঁর পরিবারের জন্য নয়, স্থানীয় সমাজের অন্যান্য শ্রমিকদের জন্যও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। যাঁরা এখন নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের এই হীরাপ্রাপ্তির গল্প অনুপ্রাণিত করতে পারে।
পান্না জেলায় হামেশাই হীরা পাওয়া যায়
পান্না জেলার খনিগুলিতে এমন মূল্যবান হীরা খুঁজে পাওয়া অপ্রত্যাশিত নয়। কারণ এই এলাকা ভারতীয় হীরা উত্তোলনের জন্য দীর্ঘদিন ধরে পরিচিত। তবে স্বামীদিন পালের মতো একজন সাধারণ শ্রমিকের জন্য এটি বিশাল সাফল্য। সেই কারণে তাঁর এই গল্পটি এখন স্থানীয় থেকে জাতীয় পর্যায়ে ছড়িয়ে পড়েছে।