ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: রাজ্যের সাধারণ মানুষরা তাদের সঞ্চিত অর্থ এবং আমানত বিভিন্ন ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রাখে। ঠিক তেমনই বিভিন্ন সরকারি ব্যাঙ্কে বিভিন্ন অ্যাকাউন্ট রাখে। কিন্তু এবার স্টেট ব্যাঙ্ক ও পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে কোনও সরকারি অ্যাকাউন্ট না রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই সরকারি ব্যাঙ্কগুলির ক্ষেত্রে একটা বড় ধাক্কা সামনে এল। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত?
ঘটনাটি কী?
আসলে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া এবং পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের সাথে সমস্ত লেনদেন অবিলম্বে স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্ণাটক সরকার। কিন্তু কোনও রাজ্যের সরকার এমন সিদ্ধান্ত আচমকা গ্রহণ করায় রীতিমত চমকে গিয়েছেন সকলে। ইতিমধ্যেই গতকাল অর্থাৎ বুধবার এই মর্মে সরকারের তরফ থেকে সরকারি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। এদিন কর্নাটক অর্থ দপ্তর একটি সরকারি নির্দেশিকায় বলেছেন, “রাজ্য সরকারের বিভাগ, সরকারি অনুদানে পুষ্ট বিভাগ, কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকারি সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান SBI এবং PNB-র অ্যাকাউন্টগুলির লেনদেন অবিলম্বে বন্ধ করবে৷ দুই ব্যাঙ্কে আপাতত কোনওরকম বিনিয়োগ এবং আমানত করা হবে না।”
কত দিন বন্ধ থাকবে?
জানা গিয়েছে, কর্ণাটক সরকার গত বুধবার সমস্ত বিভাগকে SBI এবং PNB-তে তাদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যাঙ্কে যা টাকা আছে তা তুলে নেওয়ার জন্য স্টেট ডিপার্টমেন্টকে নির্দেশ দিয়েছে। এই মর্মে অর্থ বিভাগের সচিব পিসি জাফরের ১২ আগস্ট একটি বিজ্ঞপ্তি অনুসারে রাজ্য সরকার সমস্ত বিভাগকে সব কাজ শেষ করার জন্য আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অবধি সময় বেঁধে দিয়েছে। এবং স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ও পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে রাজ্য সরকারের দফতর, পাবলিক এন্টারপ্রাইজ, কর্পোরেশন, স্থানীয় সংস্থা, বিশ্ববিদ্যালয় এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সব অ্যাকাউন্টগুলি যত শীঘ্র সম্ভব বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার পিছনে রয়েছে রাজ্য সরকারের কর্ণাটক মহর্ষি বাল্মীকি তফসিলি উপজাতি উন্নয়ন নিগম তহবিল স্থানান্তর কেলেঙ্কারি। গত ২৬ মে কর্পোরেশনের অ্যাকাউন্ট সুপারিনটেনডেন্ট চন্দ্রশেখর পি আত্মহত্যা করেন। এবং সেখানে একটি সুইসাইড নোট লেখেন, যেখানে দাবি করা হয়, কর্পোরেশনের তহবিলের ১৮৭ কোটি টাকা অন্য অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে কর্তৃপক্ষে অনুমোদন ছাড়াই। এবং আরও ৮৮.৬২ কোটি টাকা একাধিক অ্যাকাউন্ট পাঠানো হয়েছে। যার ফলে কর্নাটকের কংগ্রেস সরকার এবং বিরোধী বিজেপির মধ্যে ধুন্ধুমার বেঁধে গিয়েছে। তাই অবশেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় কর্ণাটক সরকার।