ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মানুষের কাছে ঈশ্বর ভাবনা যেন এক বড় ভাবনা। আর ভারতবর্ষ হল নানাবিধ ধর্মের দেশ। হাজার হাজার মন্দির গড়ে উঠেছে মানুষের ভগবানের প্রতি বিশ্বাস, ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধার অনুকরণে। তাইতো সামান্য পাথরখণ্ডকেও ঈশ্বর রূপে পূজা করতে মানুষ পিছুপা হবে না। তবে নাস্তিকদের ক্ষেত্রে সেই যুক্তি কিন্তু সম্পূর্ণ ভিন্ন। তবে সম্প্রতি দেশের অন্দরেই ঘটল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা।
ধর্মকে ঘিরে দেশের অন্দরেই গড়ে উঠল এক আশ্চর্যজনক ঘটনা
জানা গিয়েছে, তামিলনাড়ুর সালেম জেলার মল্লমউপাত্তি গ্রামের বাসিন্দা বছর ৪৫ এর লোগানাথন ওরফে সিদ্ধর ভাকিয়া ভিনগ্রহীদের উদ্দেশে একটি মন্দির তৈরি করছেন। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, উল্লেখিত সেই গ্রামের এক একর জমির তিন-চতুর্থাংশ জায়গা জুড়ে মন্দিরটি তৈরি করা হচ্ছে। তবে এখনই মন্দিরের নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ হয়নি। তার আগেই ভারতের প্রথম ভিনগ্রহীর মন্দির দেখতে মানুষ ভিড় জমাতে শুরু করে দিয়েছেন।
মন্দির প্রসঙ্গে লোগনাথন এর অদ্ভুত দাবি!
জানা গিয়েছে, নিয়মিত মন্দিরে এসে ভিনগ্রহীকে তুষ্ট করতে পূজাপাঠ চালান লোগনাথন নিজেই। এছাড়াও মন্দিরের মধ্যে যে বিগ্রহ রয়েছে সেটিও নাকি বেশ অদ্ভুতভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। ছবি সূত্রে দেখা গিয়েছে এই মূর্তির রং কালো। এবং এই মূর্তির মাথা বিশাল, চোখ দুটি আবার সাদা। এমন অদ্ভুত মন্দির প্রসঙ্গে লোগানাথনের দাবিও বেশ আশ্চর্যজনক। তিনি নাকি এলিয়েনদের সঙ্গে কথাও বলেন। এবং তাঁদের অনুমতি নিয়েই তৈরি করেছেন এই মন্দির। ভক্তদের ইচ্ছাপূরণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন এলিয়েনরা আমাদের সমস্ত ইচ্ছা পূরণ করে। কিন্তু তার জন্য প্রথমে আপনাকে এলিয়েনদের অস্তিত্বে বিশ্বাস রাখতে হবে। সঙ্গে নিত্যদিন যদি তাঁদের উদ্দেশে ২২ মিনিট ধ্যান করেন তবে সেই ইচ্ছা পূরণ হবে।
এই প্রসঙ্গে এক বিশেষ সংবাদ চ্যানেলে সাক্ষাৎকারে লোগানাথন জানান, ‘সিনেমায় যে ভাবে ভিনগ্রহীদের দেখানো হয় আদতে তারা কিন্তু ঠিক তেমন দেখতে নয়। তাদের মাথায় কোনও শিং নেই বলেও দাবি করেন লোগানাথন। এছাড়াও সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘শুধুমাত্র ভিনগ্রহীর মূর্তিই নয়, এই মন্দিরের ১১ ফুট গভীরে একটি কক্ষে ভিনগ্রহীদের পাশাপাশি শিব, পার্বতী, মুরুগান, কালী এবং অন্যান্য দেবদেবীর মূর্তিও স্থাপন করা হয়েছে।’