কলকাতাঃ আপনিও কি আগামী দিনে দার্জিলিং ঘুরতে যাচ্ছেন? বিশেষ করে দুর্গাপুজো বা তার পরবর্তী সময়ে শৈলশহরে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? তাহলে আপনার জন্য রইল একদম দারুণ সুখবর। আগামী দিনে যারা দার্জিলিং ঘুরতে যাবেন বলে প্ল্যান করছেন, তাদের ভ্রমণের এক প্রকার এবার চারচাঁদ লেগে যেতে চলেছে। কারণ প্রশাসনের তরফে এমন এক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যার জন্য খুশ হয়ে যাবেন পর্যটকরা। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
পর্যটকদের জন্য সুখবর
গ্লাস ব্রিজ নিয়ে সাধারণ মানুষের মাতামাতি শেষ নেই। বিশ্বের এমন বহু দেশ রয়েছে যেখানে পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য গ্লাস ব্রিজ তৈরি করা হয়েছে। এমনকি সিকিমেও রয়েছে এই গ্লাস ব্রিজ। তবে এবার সিকিমের গণ্ডি পেরিয়ে দার্জিলিং-এও তৈরি হতে চলেছে এই গ্লাস ব্রিজ। শুনতে অবাক লাগল এটাই দিনের আলোর মতো সত্যি। অনেকেই হয়তো জানেন না যে ভারতের প্রথম কাঁচের সেতুটি তৈরি করা হয়েছিল কেরলে। একটি কাঁচের সেতু তৈরি করা হয় যা পর্যটকদের এক আলাদাই আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু তবে এবার দার্জিলিঙেও ঠিক একই রকম গ্লাস ব্রিজ তৈরি হতে চলেছে বলে খবর।
যারা এতদিন সিকিমের পেলিং-এ ঘুরতে গিয়েছেন তারা নিশ্চয়ই গ্লাস ব্রিজে ওঠার আনন্দ উপভোগ করেছেন। তবে এবার দার্জিলিঙেও একই রকম আনন্দ উপভোগ করতে চলেছেন সাধারণ পর্যটকরা। এদিকে স্বাভাবিকভাবে এহেন সিদ্ধান্তে বেজায় খুশি পর্যটকরা।
দার্জিলিং-এ তৈরি হচ্ছে কাঁচের সেতু
এখানে একটি বিষয় বলে রাখা জরুরি। এই ব্রিজটি কিন্তু প্রশাসনের তরফে তৈরী করা হচ্ছে না। জানা গিয়েছে, এই কাঁচের সেতুটি তৈরী করছে হামরো পার্টি। এই হামরো পার্টির সুপ্রিমো অজয় এডওয়ার্ড জানিয়েছেন যে তিনি এই সেতুটি তৈরী করছেন। দার্জিলিং এর মূল শহর থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত বালাবাসে তৈরি হচ্ছে এই কাঁচের সেতু। ইতিমধ্যে নাকি কাজ শুরু হয়ে গেছে, অনেকটা শেষ হয়ে গিয়েছে বলা যায়। সেতু তৈরির সম্পূর্ণ খরচ বহন করছে এডওয়ার্ড নিজেই। এই সেতুটি নির্মাণ করার জন্য একটি বিশেষ কাঁচের আমদানি করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
দার্জিলিংয়ে ছোট রঙ্গিত নদীর উপর ব্রিটিশ আমলের একটি ঝুলন্ত সেতুকে স্কাইওয়াকে রূপান্তরিত করা হচ্ছে। হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন, এই কাজ করতে তাকে সাহায্য করছেন সিংটম ও পুলবাজার-বিজনবাড়ির ২০টি গ্রামের বাসিন্দারা। সাসপেনশন ব্রিজটি ব্রিটিশ যুগে মানুষ এবং ঘোড়াদের নদী পার হওয়ার জন্য নির্মিত হয়েছিল এবং আগেকার সময়ে দার্জিলিং এবং পুলবাজার-বিজনবাড়ির মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক দৃঢ় ছিল যখন এটি সর্বাধিক ব্যবহৃত রাস্তার অংশ ছিল। এবার সেই ব্রিজটিকে কাজে লাগিয়ে নতুন করে স্কাইওয়াক তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে।