কলকাতাঃ ব্রিটিশ আমলে ভারতে শুরু হয়েছিল রেল পরিষেবা। সেই সময় বাংলারও আনাচে কানাচে ছুটেছিল ট্রেন। ব্রিটিশদের তৈরি রেলপথ ভারত সহ বাংলার বহু জায়গায় এখনও স্বগর্বে চলছে। তবে বাংলার বুকে এমন এক স্টেশন রয়েছে, যা ব্রিটিশ আমলে জাঁকজমক পূর্ণ থাকলেও, কালের অতলে আজ হারিয়ে গিয়েছে।
আজ কথ হচ্ছে বাংলা ও ঝাড়খণ্ডের সীমানায় থাকা এক অভাগা রেল স্টেশনকে নিয়ে। স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশরা বাণিজ্যের সুবিধার জন্য তৈরি করেছিল পলাশস্থলী রেল স্টেশন। বীরভূমের লাল মাটির উপর শাল, শিমুল, সেগুনের জঙ্গলে ছিল এই পলাশস্থলী স্টেশনটি। বীরভূমের ভীমগড় থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রেল লাইনের মধ্যেই ছিল এই স্টেশন। বর্তমানে তা ঝাড়খণ্ডের মধ্যে পড়ছে।
স্থানীয়দের মোদতে ১৯৫৩ সালে চালু হওয়া বীরভূমের ভীমগড় থেকে ঝাড়খণ্ড পর্যন্ত বিস্তৃত রেল লাইনটির ২৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ছিল। পূর্ব রেলের সাঁইথিয়া-অন্ডাল শাখার এই ভীমগড়-পলাশস্থলী স্টেশনের মধ্যে দিনে দুই থেকে চারবার ট্রেন চলাচল হত। এখান থেকে বর্ধমান, কলকাতা ও আসানসোল যাওয়ার বিরাট সুবিধা ছিল।
এই স্টেশন একসময় ব্যস্ত থাকলেও এখন নির্জন। যাত্রীবাহী ট্রেন এখন এখান দিয়ে আর যায়না। তবে মালবাহী ট্রেন চলাচল করে। স্থানীয়রা জানান এই স্টেশনের নীচে রয়েছে কয়লাখনি। আর সেখানে নাকি অবৈধভাবে নিয়মিত কয়লাখননও চলে। অবৈধ খননের কারণে স্টেশনটি ব্যাপক ভাবে ক্ষতিগ্রস্তও হচ্ছে। আর এই কারণে দীর্ঘ ২০ বছর ধরে এখানে ট্রেন চলে না। ২০০২ সালে স্টেশনটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর স্থানীয়রা বারবার এই স্টেশনটিকে চালানোর দাবি জানিয়ে এসেছে। কিন্তু কর্ণপাত করেনি রেল।