ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: জীবনে বড় কিছু অর্জন করার ইচ্ছা সকলেরই থাকে। কিন্তু ইচ্ছা থাকলেও সেটাকে পূরণ করার সাহস কতজনের বা আছে? তবে এই স্বপ্নপূরণের জন্য সবচেয়ে নেই দুই জিনিসের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন, সেই দুটি হল শক্ত মনোবল এবং জেদ। আর তাইতো এই জেদের বসেই এখনও দেশের মাটিতে বর্তমান প্রজন্ম সাফল্যের মণিকোঠায় আসতে পারছে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন এক মেধাবী ছাত্রীর সম্পর্কে আলোচনা করতে চলেছি যার কিনা পড়াশোনার জন্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পাড়ার প্রতিবেশীরা।
পাশে ছিল পরিবার
বিহারের ফুলওয়ারি শরীফের কুরকুরি গ্রামে বড় হয়েছেন প্রিয়ারানি। যিনি কিনা UPSC পরীক্ষায় সারা দেশের মধ্যে ৬৯ র্যাঙ্ক অর্জন করে বিহারের ওই প্রত্যন্ত গ্রামের নাম উজ্জ্বল করেছেন। কিন্তু তাঁর এই সাফল্য অর্জনের পথে খুব একটা মসৃণ ছিল না। কারণ সেই প্রিয়ারানিকেই একসময় গ্রামের লোক পড়াশোনায় বাধা দিয়েছিল। বিয়ে দিয়ে দেওয়ার জন্য প্রিয়ার পরিবারকে বরাবর চাপ দেওয়া হতো। কিন্তু এই এত বাধার মধ্যেও পাশে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁর ঠাকুরদা এবং বাবা। আর সেই জোরেই সব বাধা কাটিয়ে আজ সফল IAS তিনি।
ব্যর্থ হওয়ার পর অবশেষে জয়
এক সাক্ষাৎকারে প্রিয়ারানি বলেন যে ২০ বছর আগে পাটনায় পড়াশোনা করতে পাঠিয়েছিলেন তাঁর ঠাকুরদা। সেই সময় মেয়েকে পড়ানো নিয়ে গ্রামে নানা কথা শোনাতো তাঁর পরিবারকে। এরপরেই তিনি UPSC পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন। মেসরার বিআইটি থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছিলেন প্রিয়ারানি। কিন্তু প্রথমবারে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। থেমে থাকেনি লড়াই। এরপর দ্বিতীয় প্রচেষ্টাতেই UPSC পাশ করে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিভাগে চাকরি পেয়েছিলেন প্রিয়ারানি।
কিন্তু তাঁর স্বপ্ন ছিল একজন সফল IAS অফিসার হওয়ার। তৃতীয়বারে তাই আবার পরীক্ষা দেন, কিন্তু সেবারেও ব্যর্থ তিনি। শেষে চতুর্থবারের প্রয়াসে সফল হন প্রিয়ারানি। অবশেষে তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে নিজের লক্ষ্যের দিকে অবিচল থেকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হয় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য পূরণের জন্য।