ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গত মাসে রেমালের দাপটে ঝোড়ো হাওয়া এবং মাঝারি বৃষ্টিতে ক্ষণিকের জন্য স্বস্তি পেয়েছিল রাজ্যবাসী। কিন্তু ঘূর্ণাবর্তের প্রভাব কাটতে না কাটতেই বাতাসে অতিরিক্ত জলীয় বাষ্পের দরুণ অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরমের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। সঙ্গে ঊর্ধ্বমুখী তাপমাত্রা। এই আবহে তাই অনেকেই পাড়ি দেয় পাহাড়ি এলাকায়। কিন্তু সকল মধ্যবিত্তদের পক্ষে পাহাড়ে যাওয়া একেবারেই সম্ভব নয়। তার উপর খরচেরও একটা ব্যাপার থাকে। কিন্তু এবার যেকেউ কলকাতায় বসে পাহাড়ি এলাকায় বরফের সুখ পাবে।
গরমের হাত থেকে রেহাই পেতে এখন আর কাউকে বেশি টাকা খরচা করে উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বা সমুদ্র যেতে হবে না কারণ কলকাতার বুকেই এবার স্নো ফলের মজা পেয়ে যাবেন পর্যটকেরা। ভাবছেন এমনও আবার হয় নাকি! সত্যিই হয়। এবার কলকাতার মধ্যেই সবচেয়ে কম বাজেটে স্নো ফলের মজা নিতে পারবে কলকাতাবাসী। তাও আবার কয়েক পা এগিয়ে। চলুন এক নজরে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
কোথায় এমন অদ্ভুত জায়গা?
কলকাতার পাশেই নিউটাউনের Axis Mall-এর ষষ্ঠতলায় রয়েছে স্নো পার্ক। এখানে যাওয়ার জন্য মেট্রোতে করে আসতে হবে সেক্টর ফাইভ। সেখান থেকে অটো বা বাসে পৌঁছতে পারেন অ্যাক্সিস মল। এছাড়া নিউটাউন গামী যে কোনও বাসে করে চলে আসতে পারেন বিশ্ব বাংলা গেট এবং সেখান থেকে অটো বা বাসে পৌঁছতে পারেন Axis Mall। এই স্নো পার্কে রয়েছে প্রচুর স্নো অ্যাক্টিভিটি। এই পার্কে ভেতরের তাপমাত্রা থাকে প্রায় – 6°C। সঙ্গে দারুণ মিউজিকের ব্যবস্থা ও আর্টিফিশিয়াল স্নো-ফল। তবে ৩ বছরের নীচে শিশুদের জন্য এখানে প্রবেশাধিকার নেই।
প্রবেশ মূল্য ও অন্যান্য খরচ
এই স্নো পার্কে ঢুকতে মাথাপিছু মাত্র ৫০০ টাকা লাগছে। এই টাকায় প্রবেশ করে পার্কে মাত্র ১ ঘণ্টার জন্য থাকতে পারবেন। পাশাপাশি নিজের প্রয়োজনীয় জিনিস রাখার জন্য লকার পিছু অতিরিক্ত ১০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। তবে লকারের চাবি ফেরত দিলে অবশ্যই সেই টাকা রিফান্ড করা হবে। এছাড়াও বুটস্, জ্যাকেট ও গ্লাভস্ ইত্যাদি ওই টাকাতেই মিলছে। তবে এক জোড়া মোজার জন্য নেওয়া হচ্ছে ৩০ টাকা যা নন-রিফান্ডেবেল।
সময়
এই স্নো পার্ক’টি প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকে।