কলকাতাঃ একে তো বর্ষার মরসুম তারওপর আবার একদম দোরগোড়ায় এসে হাজির হয়েছেন দুর্গাপুজো। এহেন অবস্থায় কমবেশি সকলেরই মনটা কোথাও ঘুরতে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছে। আপনিও কি আগামী কয়েকদিনের মধ্যে কোথাও ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করছেন? কিন্তু কোথায় ঘুরতে যাবেন বুঝতে পারছেন না? তাহলে আজকের এই প্রতিবেদনে আপনাদের একটি নতুন ডেস্টিনেশনের খোঁজ দেওয়া হবে যেখানে একবার গেলে আপনি আর ফিরে আসতে চাইবেন না।
ঘুরে আসুন নেতারহাট
জায়গাটি অবশ্য নতুন নয়, কিন্তু কেউ যদি না গিয়ে থাকেন তাহলে তার কাছে অবশ্যই সেটি একদমই পর্যটনের ভাষায় যাকে বলে একদম ‘Unexplored’ জায়গা। জায়গাটি পাহাড়ি, আবার কলকাতা থেকে মাত্র কয়েক ঘন্টা দূরত্ব-এ অবস্থিত। না আপনাদের দার্জিলিং, সিকিম কিংবা ওড়িশার কোনো পাহাড়ি জায়গার কথা বলা হচ্ছে না। আজ কথা হচ্ছে নেতারহাট নিয়ে। ঝাড়খণ্ড রাজ্যের বুকে থাকা এই সুন্দর জায়গাটিতে প্রকৃতির সঙ্গে সবকিছুর এমন এক মেলবন্ধন রয়েছে যেটি দেখলে আপনি হয়তো মনোমুগ্ধ হয়ে যাবেন। এই নেতারহাটে গেলে আপনি ফিরে আসতে চাইবেন না।
এই নেতারহাটের আবহাওয়া এতটাই মনোরম এবং সুন্দর যে আপনি এখানে গেলে রীতিমতো হারিয়ে যাবেন। এখানে এলে আপনি ফিরতি পথে বুক ভর্তি অক্সিজেন নিয়ে ফিরতে সক্ষম হবেন। নেতারহাট…ছোটোনাগপুর মালভূমির ওপরে অবস্থিত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের এই বিশেষ জায়গাটিতে গেলে আপনার চোখ জুড়িয়ে যাবে। এখন থেকে আপনি অনায়াসেই আবার পাত্রাতু ভ্যালি, হুন্ড্রু জলপ্রপাত, রাজরাপ্পা মন্দির সব রাঁচি ট্যুর করে নিতে পারবেন।
বর্ষার নেতারহাট
বর্ষাকালে নেতারহাটের যেন আলাদা করে রূপ খুলে যায়। শুধু বর্ষায় নয়, শীতেও একই অবস্থা। একদিকে যেমন চারপাশের ঘন সবুজ প্রকৃতি এই জায়গাকে প্রাণোজ্জ্বল করে তোলে তেমনি বর্ষার জলে পুষ্ট সমস্ত জলপ্রপাত আর সুবর্ণরেখা নদী যেন দু’হাত খুলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানায়। হাতে মাত্র ২ -৩ দিনের ছুটি থাকলে আপনি অনায়াসেই এই জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন। বিশেষ করে যারা দার্জিলিং, সিকিমের পাহাড় দেখে একঘেয়ে ফিল করেন তাঁরা অনায়াসেই এই জায়গা থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
কী কী দেখবেন
এখন স্বাভাবিকভাবেই আপনার মনে প্রশ্ন জাগছে নিশ্চয়ই যে নেতারহাটে দেখার মতো কী কী আছে? তাহলে জানিয়ে রাখি, সানরাইজ পয়েন্ট, কোয়েল ভিউ পয়েন্ট, ন্যাসপাতি বাগান, নেতারহাট লেক, পাইন ফরেস্ট, লোয়ার ও আপার ঘাঘরি জলপ্রপাত। নেতারহাট থেকে ৬০ কিমি দূরে লোধ জলপ্রপাত ঝাড়খণ্ডের উচ্চতম জলপ্রপাত।