ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সারা সপ্তাহের কাজের অতিরিক্ত চাপ, ক্লান্তি, জীবনকে অতিষ্ট করে তোলে। তাই খানিক শান্তির খোঁজে খোলা আকাশের নীচে অনেকেরই ইচ্ছা হয় প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে। সবচেয়ে ভালো হয় যদি সামনে থাকে অথৈ সাগর আর মন ভালো করা লবণাক্ত হাওয়া। কিন্তু বাঙালির কাছে সমুদ্র বলতে ঐ একই দিঘা অথবা পুরী। যেখানে হামেশাই এখন পর্যটকদের ভিড় থাকে। তাই খানিক শান্তির জন্য পাহাড়ের মত সমুদ্র রয়েছে এমন অফবিট জায়গায় যাওয়া উচিত। চলুন আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা সেইরকম এক অফবিট এলাকা নিয়ে আলোচনা করি।
দিঘা থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরেই রয়েছে এমনই একটি সামুদ্রিক অফবিট লোকেশন। এখানে সমুদ্র সৈকতে একদমই ভিড় নেই। ফলত এখানকার প্রকতির সৌন্দর্য এবং সামুদ্রিক আবহাওয়া ভালোভাবে অনুভব করা যায়। আসলে জায়গাটির নাম কানাই চাট্টা। ভীষণ পরিষ্কার একদম ফাঁকা বিচ। কাছেপিঠেই আবার আছে বাঁকিপুট বিচ, দারিয়াপুর লাইট হাউস, পেটুয়া ঘাট যেটি কিনা এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম মৎস বন্দর, কপালকুণ্ডলা মন্দির ইত্যাদি।
নির্জন সি- বিচ
আবার সেখান থেকে সিড্রাইভ রোড ধরে সোজা চলে গেলেই মিলবে জনপুট সি- বিচ। গুঁড়ি গুঁড়ি লাল কাঁকড়ার ছুটো ছুটি। আর অজস্র ঝাউবন।তবে এখানে থাকার তেমন খুব বেশি জায়গা নেই। হাতে গোনা কয়েকটি রিসর্ট এবং গেস্ট হাউস রয়েছে। সেকারণে আগে থেকে বুক করে যাওয়া ভাল। অনেক আবার সমুদ্রের ধারে টেন্ট বানিয়ে রাত কাটাতে ভালোবাসে। বিকেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সেখানে বসে অবসর সময় কাটিয়ে দেওয়া যায়। আর সমুদ্রের ঢেউয়ের ওঠা পড়া দেখতেও বেশ অসাধারণ লাগে।
সামুদ্রিক মাছের চাহিদা বৃদ্ধি
এখানে বর্ষাকালে প্রচুর ডিমান্ড বা চাহিদা থাকে পর্যটকদের। নির্জনভাবে সামুদ্রিক পরিবেশ উপভোগ করতে হলে এই অফবিট জায়গা বেস্ট। পাশাপাশি এখানে চিংড়ি, কাঁকড়া আর বাঙালির সবচেয়ে পছন্দের ইলিশ মাছ পেতে পারেন। একেবারে রসে পদে সমুদ্রের পাড়ে বসে মধ্যাহ্ন ভোজনও যেমন পরিপূর্ণ হবে তেমনই পুরো সপ্তাহের কাজ করার এনার্জিও মিলবে।