ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: তীব্র গরমের হাত থেকে বাঁচতে অনেকেই কাজের ব্যস্ততার মাঝে ৪-৫ দিনের ছুটি নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার প্ল্যান করে নেয় পরিবারের সঙ্গে। পাড়ি দিতে চায় এক টুকরো ঠান্ডার ছোঁয়া উপভোগ করতে। কিন্তু মন যতই কাশ্মীর কাশ্মীর করুক, মধ্যবিত্তের পকেটের টান সেই যাওয়ার প্ল্যানকে খানিক ফ্যাকাশে করে দেয়। কিন্তু তাতে কি? দুধের স্বাদ না হয় ঘোলেই মেটানো যাবে। তাইতো সস্তায় কাশ্মীর ট্রিপ উপভোগ করতে পাড়ি দিচ্ছে বাঙালির প্রিয় পর্যটনস্থল দার্জিলিং-এ!
শিকারা মিরিক লেকে!
হিমালয়ের কোলে ছোট্ট এক রূপকথার নগর হিসেবে অবস্থান করছে দার্জিলিংয়ের মিরিক। আলপাইন গাছের নগ্ন জঙ্গলের ঘেরা এই নগরের রূপ ও সৌন্দর্য কোনও অংশেই কাশ্মীরের থেকে কম নয়। জানা গিয়েছে কাশ্মীরের ডাললেকের শিকারা বেশ নজর কাড়ে পর্যটকদের। আর তাই সেই পন্থাকে অবলম্বন করে জিটিএ-র পর্যটন বিভাগ পর্যটকদের আকর্ষণ করতে মিরিকেও চালাচ্ছে শিকারা। আর এটা এতটাই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে যে, যার দরুন অনেকে দিনভর লম্বা লাইনে দাঁড়ালেও মিলছে না টিকিট। হতাশা হয়েই ফিরতে হচ্ছে হোটেল। প্যাডেল বোটিং থাকলেও সকলের শিকারার প্রতি আগ্রহের মাত্রা যেন বেড়েই চলেছে।
পর্যটকদের মতামত
মুম্বই থেকে আসা রোহিত আইয়ার নামে এক পর্যটক এই প্রসঙ্গে জানান, ‘মিরিকে এসেছিলেন শিকারায় চড়বেন বলে। কিন্তু ভিড়ের জন্য ওঠা হল না। কারণ, দুটোই মাত্র বুকিং ছিল।’ আবার দার্জিলিঙে শিকারায় চড়তে পেরে কৃষ্ণনগরের বাসন্দা অমল তালুকদার দারুণ উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেন, ‘খুব ভাল লাগল। কাশ্মীরে যেতে পারব কি না তো জানি না। তাই এখানেই চড়ে নিলাম।’
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টে মুখ পুড়ল রাজ্যের, সরকারি কর্মীদের স্বস্তি দিয়ে যুগান্তকারী রায় আদালতের
পাহাড়ে পর্যটনকে আর্থিক উন্নয়নের হাতিয়ার হিসাবে ধরা হয়। সেই সুবাদে মিরিককে কেন্দ্র করেই পর্যটনকে ঢেলে সাজাতে চাইছে জিটিএ।আপাতত দুটি শিকারা নিয়ে আসা হয়েছে মিরিক লেকে। কিন্তু অল্প দিনেই শিকারার চাহিদা এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে মিরিকে দুটো শিকারা দিনভর বুকিং হচ্ছে। তাই কিছু দিনের মধ্যে আরও শিকারার সংখ্যা বাড়ানোর কথা ভাবছে জিটিএ। জানা গিয়েছে মাথাপিছু প্রতি ঘণ্টায় ২০০ টাকা করে নেওয়া হচ্ছে শিকারা চড়ার জন্য। তাইতো পাহাড়ের কোলে হ্রদে শিকারায় ঘুরে এক টুকরো কাশ্মীর উপভোগ করতে চাইছে অনেকেই।