আজ চৈত্র নবরাত্রি বা বাসন্তী পুজোর নবমী। আর এই তিথিতেই ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের জন্মতিথি পালিত হয় রাম নবমী হিসেবে। অত্যন্ত আড়ম্বর সহকারে পালিত হয় এই দিনটি। আর এই উৎসব আরও বেশি মাহাত্ম্য পেয়েছে অযোধ্যায় রামলালা প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর। তবে আজ শুধু অযোধ্যায় নয় গোটা দেশের কোণায় কোণায় পূজিত হবে রাম। পুরাণ কাহিনী থেকে আমরা এমন অনেক কাহিনী সম্পর্কে জেনে থাকি যেখানে দেব দেবীদের নিয়ে নানা অলৌকিক কাহিনী গড়ে ওঠে। এমনকি কলিযুগে দাঁড়িয়ে আজও বেশ কিছু কাহিনী বাস্তবে সত্যিই হয়ে থাকে। এমনই এক কাহিনী আজ আমরা এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
আজ, রাম নবমীর বিশেষ উপলক্ষ্যে, আমরা আপনাদের এমন একটি বিশেষ গ্রামের গল্প বলতে যাচ্ছি যেখানে প্রতিটি বাড়িতে রাম বাস করেন। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই সত্যি। প্রায় আড়াইশো বছর ধরে চলে আসা এই ঐতিহ্যে গ্রামের প্রতিটি মানুষের নামের সঙ্গে শ্রী রামের নাম জড়িয়ে আছে । কিন্তু এর পিছনে কী রহস্য লুকিয়ে আছে? কেনই বা সকলের সঙ্গে শ্রী রামের নাম জড়িয়ে আছে?
কি নাম সেই গ্রামটির ?
সূত্রের খবর সেই নির্দিষ্ট গ্রামটি আসলে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সানাবাঁধে। গ্রামটির নাম রামপাড়া গ্রাম (Rampara Village)। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল এই গ্রামে কখনও ভগবান রামের আসার কোনও গল্প নেই বা এই গ্রামটি রামায়ণ বা ভগবান রামের সাথে যুক্ত নয়। কিন্তু এর পরেও, গ্রামে বসবাসকারী সকলেই ভগবান রামের প্রতি এতটাই বিভোর যে গ্রামেরই নামকরণ হয়েছে রামপদ ।
কেন সকলের নাম রাম ?
বাংলা ভাষায় যেখানে ‘পদ’ শব্দের অর্থ এলাকা। আসলে একদিন স্বপ্নে, গ্রামের বাসিন্দা রামবদন মুখার্জি নামের এক ব্যক্তির পূর্বপুরুষরা ভগবান শ্রী রামকে তাদের গ্রামে একটি মন্দির তৈরি করতে এবং গ্রামের পারিবারিক দেবতাকে উদযাপন করার জন্য আদেশ পেয়েছিলেন। এবং সেই আদেশ মেনেই তারা এক মন্দির স্থাপন করেছিলেন। আর এরপর থেকে প্রতিটি ঘরে জন্ম নেওয়া শিশুর নাম রাখা হয় রাম।
সেই গ্রামের মানুষরা যে শুধুমাত্র ভগবান শ্রী রামকে বিশ্বাস করে তা নয় নিষ্ঠাভরে পূজাও করে। তাই এই গ্রামে বসবাসকারী প্রতিটি মানুষের সাথে ভগবান রামের নাম জড়িয়ে আছে । এখানে জন্ম নেওয়া প্রতিটি নবজাতক শিশুর নামের সাথে ভগবান রামের নাম অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।