কলকাতাঃ একে তো বর্ষাকাল তার ওপর সামনে লম্বা একটা উইকএন্ড। আবার একদম দোরগোড়ায় হাজির হয়েছে দুর্গাপুজো। সব মিলিয়ে এখন উৎসবের আমেজে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। কোথায় যাওয়া যায় সেটা ভাবতেই ভাবতেই দিন কাবার হয়ে যায়। কিন্তু চিন্তা নেই, আজ আপনাদের এমন একটি জায়গা সম্পর্কে খোঁজ দেওয়া হবে যেখানে গেলে আপনিও হয়তো আর ফিরে আসতে চাইবেন না। আজ যে জায়গাটি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে সেটি কলকাতা থেকে মাত্র ৫ ঘণ্টা দূরে অবস্থিত। আবার সেখানে পাহাড়ও আছে। যেখানে গেলে মনে হবে কোনও স্বর্গে গিয়ে হাজির হয়েছেন আপনি।
ঘুরে আসুন পরশনাথ পাহাড়
হাতে মাত্র একদিন বা দুদিনের ছুটিতে অনায়াসেই ঝাড়খণ্ডের বুকে থাকা পরশনাথ পাহাড় থেকে। এমনিতে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত এই ঝাড়খণ্ড রাজ্যটি। এখানে গেলে আপনি একসঙ্গে পাহাড়, ঝর্না, জঙ্গল, লেক অনেক কিছু দেখতে পাবেন। সেইসঙ্গে বহু এমন মন্দির রয়েছে যেগুলি জাগ্রত। এই পরশনাথ পাহাড়ের নিজস্ব একটা আলাদাই সৌন্দর্য আছে। এই পাহাড়টিই নাকি ঝাড়খণ্ডের সবথেকে উঁচু শৃঙ্গ।
ঘুরে আসুন মিনি কাশ্মীর থেকে
অনেকে আবার এই পরশনাথ পাহাড়কে মিনি কাশ্মীরও বলে থাকেন। বলা হয় যে জৈন ধর্মের ২৪ জন তীর্থঙ্করের মধ্যে ২০ জন এখানে মোক্ষ লাভ করেছিলেন। অতএব, এটি জৈন সম্প্রদায়ের মানুষের জন্য একটি অত্যন্ত পবিত্র স্থান হিসাবে বিবেচিত হয়। পরশনাথ পর্বত ঝাড়খণ্ডের গিরিডি জেলায় অবস্থিত এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৩৬৫ মিটার উঁচুতে অবস্থিত। এই পাহাড়ে উঠতে ও নামতে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ২৭ কিলোমিটার।
পাহাড়ে উঠতে গেলে আপনি এক রোমাঞ্চকর মুহূর্তের সাক্ষী থাকবেন। আপনার মনে হবে আকাশ ও পৃথিবী মিলিত হচ্ছে। এ দৃশ্য খুবই বিস্ময়কর। পাহাড়ের উচ্চতায় ওঠার পর ঠাণ্ডা হাওয়া আপনার মন প্রাণ জুড়িয়ে দেবে। পরশনাথ পর্বত জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে একটি পবিত্র স্থান। তাই এখানে মাংস ও মদের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ঝাড়খণ্ড সরকার এটিকে একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিল।