ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ শুরু হচ্ছে ডুরান্ড কাপ। আগামী ১৩ জুলাই ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বি খেলতে নামছে মোহনবাগান। তাঁর আগে দুই পক্ষই নিজেদের দল সাজাতে ব্যস্ত। কিন্তু এই ব্যস্ততার মধ্যেই মোহনবাগানের মাথায় বাজ ভেঙে পড়েছিল। কারণ তাঁদের দলের এক খেলোয়াড় নাকি এবার আর মাঠে নামতে পারবেন না। ফিফার চুক্তি লঙ্ঘন করার অভিযোগ উঠেছিল মোহনবাগানের বিরুদ্ধে।
গতকাল সকালে রঞ্জিত বাজাজের একটি ট্যুইট মোহনবাগান সমর্থকদের মন ভেঙে দেয়। সেই ট্যুইট ঘিরে ভারতীয় ফুটবল মহলে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। যদিও, তার কিছুক্ষণ পরেই সমস্ত কিছু পরিস্কার হয়ে ওঠে। এ ক্ষেত্রে বাজাজের চাল আর খাটেনি। তাই মোহনবাগানের জন্য ডার্বির আগে স্বস্তির হাওয়া।
উল্লেখ্য, গত বছর আনোয়ার আলিকে পাঁচ বছর লোনে চুক্তি করিয়েছিল মোহনবাগান। আর এক বছর হতেই নিজের চালে মোহনবাগানকে চাপে ফেলার চেষ্টা করেন রঞ্জিত বাজাজ। তিনি জানান যে, একটি ফুটবলারকে কোনও দল এক বছরের জন্যই লোনের চুক্তিতে নিতে পারবে। এক বছর পর হয় সেই ফুটবলারকে পুরনো ক্লাবে ফিরিয়ে দিতে হবে, নাহলে নতুন করে চুক্তি করতে হবে।
রঞ্জিত বাজাজের এই ট্যুইট শোরগোল ফেলে দেয়। প্রসঙ্গত, আনোয়ার আলি দিল্লি এফসির ফুটবলার ছিলেন। তিনি ২০২১ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত লোনে এফসি গোয়াতে খেলেন। এরপর মোহনবাগান লোনে সই করেন। এবার ফিফার নিয়ম দেখিয়ে দিল্লির কর্তা রঞ্জিত বাজাজ চেষ্টা করেছিলেন যে আনোয়ারের বাজেট বাড়িয়ে দিতে। কারণ ইতিমধ্যে দুটি বড় ক্লাব আনোয়ারকে নিতে উদ্যোগী হয়েছিল।
মোহনবাগানও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়
বাজাজের এই ট্যুইটের পর আনোয়ার আলিকে নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা শুরু হয় মোহনবাগান শিবিরে। মন ভেঙে যায় সমর্থকদেরও। বাজাজ জানিয়েছিলেন যে, আনোয়ার আলির লোনে চুক্তি ফিফার নিয়ম অনুযায়ী বাতিল হয়ে গিয়েছে। আর এই কারণে দিল্লি এফসিতে ফিরতে হবে আনোয়ারকে। কিন্তু মোহনবাগানও ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়।
আরও পড়ুনঃ রোহিত শর্মার কাছের, গৌতম গম্ভীরের সঙ্গে টিম ইন্ডিয়ায় কোচ হিসেবে যুক্ত হচ্ছেন ইনিও! নাম জানেন?
বাজাজের এই বার্তার পরই মেরিনার্স কর্তৃপক্ষের তরফে ফেডারেশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেখানে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় যে, ফেডারেশন এখনও ফিফার এই নিয়ম বলবৎ করেনি। তাই আনোয়ারের সঙ্গে মোহনবাগানের যে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়েছে, সেটি বজায় থাকবে। আর এই কারণেই রঞ্জিত বাজাজের চাল আর ধোপে টিকল না।