ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: হিন্দু শাস্ত্রে আচার্য চাণক্য বেশ পরিচিত এক মহান ব্যক্তি। যেমন বুদ্ধিমান, তেমনই, রাজনীতিবিদ এবং কূটনীতিকদের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ। যার রচিত নীতিশাস্ত্র যুগ যুগ ধরে যুব সমাজকে পথ দেখিয়ে আসছেন। তাঁর শাস্ত্রে তিনি মানব সম্পর্কিত বেশ কিছু নীতি উল্লেখ করেছিলেন, যা জীবনে চলার পথে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে আমরা চাণক্যের নীতির বিশেষ কয়েকটি বিষয় সম্পর্কে জানব, যা পুরুষের জীবনের চলার পথে কখনই প্রকাশ্যে আনা উচিত নয়।
অপমান
একজন ব্যক্তির কাছে তাঁর আত্মসম্মান বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই সন্মান যখন অপর কেউ ক্ষুণ্ন করে, তখন সেক্ষেত্রে সেটি হয়ে ওঠে অপমান স্বরূপ। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে কম বেশি প্রায় সকলকেই মুখোমুখি হতে হয়েছে। কিন্তু আচার্য চাণক্য বলেছেন যে কখনই কোনো ব্যক্তির তার অপমানের কথা প্রকাশ্যে আনা উচিত নয়। এতে সেই ব্যক্তির আত্মসম্মান বিনষ্ট হয়ে যায়।
দুর্বলতা
কর্মজীবন হোক কিংবা ব্যক্তিগত জীবন, প্রত্যেক পুরুষের এক দুর্বলতা থাকেই। কিন্তু ভুলেও সেই দুর্বলতা প্রকাশ্যে আনা উচিত নয়। এতে আপনার বন্ধু বান্ধব, কাছের মানুষ আপনার দুর্বলতায় ইচ্ছা অনিচ্ছায় আঘাত করলে আপনার সম্মানহানি হবে।
দুঃখ
সুখ এবং দুঃখ নিয়ে মানুষের জীবন গড়ে ওঠে। যদি কখনো কর্মজীবন বা ব্যক্তিগত জীবনে দুঃখের ঘটনা ঘটতেই থাকে, তাহলে ভেঙে না পরে কঠিন হয়ে থাকতে হবে। কারণ কোনো কিছুই স্থায়ী। একদিন ঠিক দুঃখের অন্ধকার কেটে সুখের আলো ফুটবেই। তবে মনে রাখতে হবে সেই দুঃখ মনের মধ্যে গেঁথে রাখলেও ভুলেও প্রকাশ্যে আনা চলবে না। এতে সমাজে সম্মানহানি ঘটে।
উপার্জন
কর্মজীবনে কাজ যতই ছোটো হোক বা বড়, সৎ পথে উপার্জন করা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু মনে রাখতে হবে আচার্য চাণক্য বলেছেন জীবনে উপার্জনের পরিমাণ যত মোটা অংকের হোক না কেন, কখনই সেটি সকলের সামনে আনা উচিত নয়।