ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বাড়ির যেকোনো অনুষ্ঠান হোক কিংবা পুজো-পার্বণ সব ক্ষেত্রেই খাবার দাবারের এলাহি আয়োজন করা হয়ে থাকে। স্টার্টার এ ফুচকা থেকে শুরু করে শেষ পাতে দই মিষ্টি চাটনি পাঁপড় এইছাড়া যেন অনুষ্ঠান বাড়ির খাওয়া কিছুতেই সম্পূর্ণ হয় না। প্রায় প্রত্যেক বাঙালি বাড়িতে এই একই পদ্ধতি চলে আসছে। যেমন ফুচকার চাহিদা বাড়ছে ঠিক তেমনই পাঁপড়ের চাহিদা দৈনন্দিন জীবনে ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আর যদি এই চাহিদাকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করা যায় তাহলে বেশ লাভবান হওয়া যায়। তাই আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফুচকা ও পাপড়ের ব্যবসা করে লাভবান হওয়া যায়।
ব্যবসা শুরু করতে লাগবে না বড় কোনো জায়গা
একটি সমীক্ষা সূত্রে জানা গিয়েছে ভারত থেকে প্রায় ১২১ টি দেশে পাঁপড় রপ্তানি করা হয়। তাই বলা বাহুল্য পাঁপড়ের ব্যবসা বর্তমানে বাজারে বেশ চাহিদায় রয়েছে। ঠিক তেমনি ফুচকা গোটা দেশে সমান ভাবে বিখ্যাত। চটকদার মচমচে ফুচকা খেতে ভালোবাসে না এমন মানুষ খোঁজা খুবই দুঃসাধ্য। তাইতো এই চাহিদার দরুন গোটা দেশে অনেক ফুচকার দোকান খোলা হয়। তাই এই সকল ব্যবসা ঘরে বসে শুরু করে রোজগার করলে বেশ স্বাবলম্বী হওয়া যাবে ভবিষ্যৎ এ। এই নতুন ব্যবসা আপনি খুচরা বা পাইকারি হিসেবে করতে পারেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল মাত্র ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে এই ব্যবসা শুরু করা যাবে। আর এর ফলে ঘণ্টায় অনেক পুঁজি লাভ হবে।
ব্যবসায়ে মাত্র ৪৫ হাজার বিনিয়োগ!
আসলে এই ৪৫ হাজার টাকা লাগবে একটি পাঁপড় কেনার মেশিন কিনতে। কারণ এই একটি মেশিনেই প্রায় ৮ রকমের জিনিস বানানো সম্ভব হবে। এমনকি এই মেশিনের মাধ্যমে আপনি হাজার হাজার পাঁপড়, ফুচকা বানাতে পারবেন। ময়দা দিয়ে একটি পাতলা, অভিন্ন গোলাকার আকৃতিতে অসংখ্য ফুচকা তৈরি হয়। তাও আবার খুব কম সময়ে। যার ফলে আপনি প্রতি মাসে ২০,০০০ থেকে ৫০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারেন৷
তবে অবশ্যই এই ছোট ও লাভজনক ব্যবসায় কিছু জিনিসের ওপর নজর রাখতে হবে। আর সেগুলি হল আকর্ষণীয় প্যাকেজিং জরুরি, উন্নত মানের বিভিন্ন স্বাদের পাঁপড় বানানো খুব জরুরি। পাশাপাশি বর্তমানে অনলাইন সেল বেশ বড় ভূমিকা পালন করেছে ব্যবসায়। তাই সেক্ষেত্রে এইসব দ্রব্যের ওপরও অনলাইন সেলে নজর দিতে হবে।