ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: শাস্ত্র অনুযায়ী ভাদ্র মাসের সংক্রান্তি তিথিকে বলা হয়ে থাকে ‘কন্যা সংক্রান্তি’। আর প্রতি বছর পুরাণ মতে এই তিথিতেই বিশ্বকর্মা দেবের আরাধনা করা হয়। তবে হিন্দু ধর্মে সব দেব -দেবীর পুজোর তিথি স্থির হয় চন্দ্রের গতি প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে। পাশাপাশি সূর্যের গতি প্রকৃতির উপরও নির্ভর করে স্থির করা হয়ে থাকে। তাই সূর্য যখন সিংহ রাশি থেকে কন্যা রাশিতে গমন করে, তখন উত্তরায়ণের সময় দেবতারা নিদ্রা থেকে জেগে ওঠেন এবং সেই সময়ই বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করা হয়।
বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টিকর্তার আরাধনা
বিভিন্ন পেশার মানুষ বিশ্বকর্মা পুজো করে থাকেন। নিরাপদ কাজের পরিস্থিতি এবং কলকারখানা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে সর্বোপরি নিজ নিজ ক্ষেত্রে সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করা হয়ে থাকে এই পুজোর মাধ্যমে। পুরাণ মতে জানা যায় ব্রহ্মাপুত্র বিশ্বকর্মা, গোটা বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের নকশা তৈরি করেছিলেন। তাইতো তাঁর পুজো মূলত কারাখানা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, দোকান এবং যন্ত্রপাতি যেখানে আছে সেই সকল স্থানেই বিশ্বকর্মা পুজো হয়। তাই আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে দেখে নেওয়া যাক চলতি বছর কবে বিশ্বকর্মা পুজো পালন হতে চলেছে। এবং কোন সময়টা সবচেয়ে শুভ।
কবে পড়েছে বিশ্বকর্মা পুজো?
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে প্রতি বছর ভগবান বিশ্বকর্মা দেবের আরাধনা করা হয়ে থাকে ১৬ বা ১৭ সেপ্টেম্বরে। আর এবছর তিথি অনুসারে ২০২৪ সালের বিশ্বকর্মা পুজো পড়েছে ১৭ সেপ্টেম্বর, বাংলা ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেই দিনটি পড়ছে, ৩১ ভাদ্র, মঙ্গলবার৷ সারা দেশের কারিগরদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। তবে বিহার এবং উত্তরের কয়েকটি রাজ্যে দীপাবলির পরে বিশ্বকর্মা পুজো করা হয়ে থাকে।
সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল বাঙালির এই বিশ্বকর্মা পুজোর মাধ্যমেই শুরুহয় বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গোৎসব। এই বিশেষ দিন পুজোর পর রকমারি খাওয়া দাওয়ায় মেতে ওঠেন সকলে। আর তার সঙ্গে চলে ঘুড়ির লড়াই। আসলে বিশ্বকর্মা পুজোর দিন সমবেতভাবে ঘুড়ি ওড়ানো রীতি রয়েছে। এছাড়াও এই পুজোর আগের দিন এদেশীয়রা সারা রাত জেগে রান্না পুজো করেন।