ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্ষার মরশুমে প্রথম বৃষ্টির ফোঁটা মাটিতে পড়তে না পড়তেই বাঙালির ইলিশ পার্বণ শুরু হয়ে যায়। ভাজা, ভাপা, পাতুরি কিংবা গোবিন্দভোগ চালের গরম ধোঁয়া ওঠা খিচুড়ির সঙ্গে ডিমওয়ালা ইলিশ ভাজা যেন জমেওঠে স্বাদে আহ্লাদে। ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আষাঢ়-শ্রাবণ মাসে প্রত্যেক বাঙালির ঘর যেন মাছের রাজা ইলিশের গন্ধে ম ম করে ওঠে গোটা বাড়ি।
সক্কাল সক্কাল বাজারে যেন ইলিশের লাইন পরে যায়। তবে এ বছর খানিক মনখারাপ শহরবাসীর। মাঝে দু’-এক পশলা বৃষ্টি হওয়ায় তখনও তৈরি হয়নি অনুকূল পরিবেশ। তাই সেইসময় জালে খুব কম ধরা দিয়েছে রুপোলি ফসল। কিন্তু বর্তমানে মৎস্যজীবীদের জালে উঠে এসেছে বড় বড় ইলিশ মাছ। দামও কমছে বেশ। তবে জানেন কি কোন মাস থেকে ইলিশ মাছ একদম পাওয়া যাবে না?
কোন সময় মেলে না ইলিশ?
এইমুহুর্তে প্রতি বছর ইলিশের দেখা মেলে। রেস্তোরাঁ হোক কিংবা বড় হোটেলে ইলিশের থালি সবসময় পাওয়া যায়। কিন্তু বর্ষার মরশুমের যে টাটকা ইলিশের স্বাদ পাওয়া যায় তা অন্য কোনও সময় পাওয়া যায় না। বিশেষত মৎস বিশেষজ্ঞদের কথা অনুযায়ী অক্টোবর এবং নভেম্বর মাসে ইলিশ প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই সঠিক প্রজনন ব্যবস্থার জন্য এই সময় মৎস্যজীবীদের ইলিশ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। শুধু এই সময় নয়, বছরের আরও বেশ কয়েক সময় বন্ধ থাকে ইলিশ ধরা।
টাটকা ইলিশের স্বাদ মেলে বিদেশেও!
জানা গিয়েছে, প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এবং জুনের শেষ থেকে শুরু করে ৯ ইঞ্চির ছোট ইলিশ মাছ ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু বেশ কিছু মৎস্যজীবী এই সময় ইলিশ ধরে সারাবছর বাজারে ইলিশের জোগান দেয়। তাইতো বছরভর মেলে ইলিশ। তবে শুধু বাংলাদেশ নয়, ভারতের গুজরাত, মায়ানমার এবং থাইল্যান্ডের জালে ধরা পরে ইলিশ।