এই নারীই হতে চলেছেন TATA গ্রুপের পরবর্তী প্রজন্মের দিশারী! চেনেন এনাকে?

Published on:

ratan maya tata

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বিশ্ব জুড়ে বাণিজ্যের দুনিয়ায় কয়েক দশক ধরে রাজ করে চলেছেন মুকেশ আম্বানি এবং আদানি গোষ্ঠী সহ আরও অনেকে। কিন্তু গোটা ভারতে যে গুটিকয়েক শিল্পপতি নিজের সুনাম অক্ষুণ্ণ রেখে সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করে চলেছেন, তাঁদের মধ্যে সর্বাগ্রে নাম রয়েছে রতন টাটার। যদিও ফোর্বসের ধনী তালিকায় তাঁর স্থান নেই, তবে সমগ্র আসমুদ্র হিমাচল ভারতবাসীর মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন। তবে, এখন তাঁর বয়স হয়েছে। সেই কারণে ধীরে ধীরে TATA র বিভিন্ন দায়িত্ব থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিচ্ছেন।

এই মুহুর্তে টাটা সন্সের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এন চন্দ্রশেখরন। কিন্তু তাঁর ভূমিকাও অন্তর্বর্তীকালীন। তাই প্রশ্ন উঠছে আগামী দিনে ভারতের এই অন্যতম সফল শিল্প গোষ্ঠীকে কে নেতৃত্ব দেবে, সেই প্রশ্নটা বড় হয়ে উঠছে। যদিও দৌড়ে বেশ কয়েকটি নাম উঠে আসলেও, সবার আগে রয়েছে এক মহিলার নাম। যিনি কিনা TATA পরিবারের এক অন্যতম সদস্য। যদিও এই মহিলা লাইমলাইটের বাইরে থাকতেই বেশি পছন্দ করেন। সাধারণ মানুষরা তো বটেই, TATA গোষ্ঠীর মধ্যেও অনেকেই তাঁকে চেনেন না। তিনি হলেন মায়া টাটা।

WhatsApp Community Join Now

কে এই মায়া টাটা?

TATA পরিবারের সকল সদস্যই খুব একটা ক্যামেরার সামনে আসতে চায় না। তাই খবরের শিরোনামে খুবই কম দেখা যায় তাঁদের। তবে টাটার পরের প্রজন্মের মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনে করা হচ্ছে মায়া টাটাকে। তিনি হলেন রতন টাটার ভাইঝি অর্থাৎ মায়া টাটার বাবা হলেন নোয়েল টাটা, রতন টাটার সৎ ভাই। আর তাঁর মা হলেন আল্লু মিস্ত্রি। টাটা গোষ্ঠীর প্রাক্তন চেয়ারম্যান, প্রয়াত সাইরাস মিস্ত্রির বোন। জানা গিয়েছে সাইরাস ইনভেস্টমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং স্টার্লিং ইনভেস্টমেন্ট গ্রুপের মাধ্যমে, টাটা সন্সে মিস্ত্রি পরিবারের ১৮.৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। তাই সেই দিক থেকে বিচার করলে ভবিষ্যতে টাটা গোষ্ঠীর নেতৃত্ব প্রদানকারী নেত্রী মায়া টাটাই হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।

Tata Neu অ্যাপ পরিচালনায় অন্যতম ভূমিকা তাঁর!

মায়া টাটা ব্রিটেনের ওয়ারউইক বিশ্ববিদ্যালয় এবং বেইস বিজনেস স্কুলে পড়াশোনা করেছেন এবং কর্মজীবন শুরু করেছিলেন, টাটা ক্যাপিটালের ফ্ল্যাগশিপ প্রাইভেট ইক্যুইটি ফান্ড, টাটা অপর্চুনিটিজ ফান্ডে। এরপর, তিনি টাটা ডিজিটালে কাজ করা শুরু করেছিলেন। সেই সময়, টাটা গোষ্ঠীর নতুন অ্যাপ Tata Neu চালু করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন মায়া। তাঁর এই সাফল্যকে স্বীকৃতি দিয়েছে টাটা গোষ্ঠীও।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে কলকাতায় টাটাদের ক্যান্সার হাসপাতালের উদ্বোধন করেছিলেন রতন টাটা। সেই হাসপাতালের পরিচালনা করে টাটা মেডিকেল সেন্টার ট্রাস্ট। সম্প্রতি টাটা মেডিক্যাল সেন্টার ট্রাস্টের বোর্ড সদস্য হিসেবে তাঁর ভাই ও বোন, নেভিল ও লিয়ার সঙ্গে যোগ দিয়েছেন মায়াও। তাই সব দিক থেকে বিচার করলে মায়া টাটাকেই সর্বকনিষ্ঠ উত্তরাধিকারী হিসাবে বেছে নেওয়া যেতে পারে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন