ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: মরশুমের সবজি শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। সবজির মধ্যে থাকা বিভিন্ন উপকারী ভিটামিন শরীরের নানা কঠিন রোগকেও সারিয়ে ফেলতে পারে। পালং শাক, লাল শাক, বাঁধাকপি, ফুলকপি, ব্রকলি, গাজর ইত্যাদি শরীরের পক্ষে বেশ উপকারী। তবে খুব কম মানুষই জানেন যে লাল এবং কমলা গাজর ছাড়াও বাজারে কালো রঙের গাজরও পাওয়া যায়। কিন্তু সবসময় যে এটি চোখে দেখা যায় তা কিন্তু নয়। কারণ এটি একটি বিরল জাতের গাজর ৷ যা শুধুমাত্র ভারত ও চীনে পাওয়া যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল এই কালো গাজর বছরে দুইবার পাওয়া যায়। যা অনেক পুষ্টিগুণে ভরপুর হওয়ায় স্বাস্থ্যের জন্যও বেশ উপকারী।
এমনিতেই চোখের জন্য গাজরের উপকারিতা নতুন করে বলার প্রয়োজন রাখে না। কারণ গাজরের মধ্যে থাকা বিটা ক্যারোটিন, চোখের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। তবে সেক্ষেত্রে বিটা ক্যারোটিনের মাত্রা লাল ও কমলা রঙের তুলনায় অনেকটাই বেশি থাকে কালো গাজরে। তাই চোখের জন্য এককথায় বলা যায় কালো গাজর বেশ উপকারী।
এই সবজির উপকারিতা
তবে শুধু চোখ নয়, শরীরে হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, ওজন কমানো এবং বাতের ব্যথায় বেশ উপকারী। কালো গাজরের মধ্যে এমন একটি অ্যান্টি অক্টিডেন্ট রয়েছে যা শরীরকে পরিবেশে থাকা ফ্রি রেডিক্যালসের থেকে রক্ষা করে। আর এই রেডিক্যালস শরীরে ক্যান্সারের কোষ সৃষ্টি করে। যেহেতু এই সবজির চাহিদা অনেক বেশি কিন্তু জোগান অনেক কম তাই এই সবজির দামও অত্যাধিক। প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১৯০ টাকা হয়ে থাকে। তবে যদি এই সবজি সঠিক উপায়ে চাষ করা হয় তাহলে গুণের পাহাড় যেমন বাড়বে তেমনই লাভের অঙ্কও বেশ বাড়বে।
এই সবজি চাষের সঠিক প্রয়োজনীয়তা
বর্তমান সময়ে কালো গাজর চাষ আজকের দিনে কৃষকদের লক্ষ্মীলাভের আরেক পথও দেখাচ্ছে। ইতিমধ্যেই উত্তরপ্রদেশের ঝাঁসি এবং এর আশপাশের জেলার কৃষকরা কালো গাজর চাষ করে বিপুল মুনাফা অর্জন করছেন। জানা গিয়েছে যে জমিতে জল নিষ্কাশনের উপযুক্ত ব্যবস্থা রয়েছে, সেখানে কৃষকরা অনায়াসে এই সবজি চাষ করতে পারেন। সবথেকে ভাল প্রজাতি হল পুসা কৃষ্ণা। বছরের আগস্ট মাস থেকে সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে শুরু করা যায় কালো রঙের গাজরের চাষ। ৯-১০ বছরের মধ্যে গাছে ফল ধরে যায়। যদিও চাষের ক্ষেত্রে এই গাছের জন্য প্রচুর টাকা খরচা হলেও বিক্রিতে এর দ্বিগুন লাভ হয়।