নয়া দিল্লিঃ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস হল ভারতের আধুনিক, সেমি-হাই-স্পিড ট্রেন, যা সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রথম এই অত্যাধুনিক ট্রেনের চাকা গড়ায় দেশে। এই ট্রেনটি ১৬টি অত্যাধুনিক কোচ নিয়ে গঠিত, যা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এবং আধুনিক সুবিধা সম্পন্ন। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৮০ কিমি। আজকাল এই ট্রেন দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রুটে চলছে। অটোমেটিক দরজা, রিক্লাইনিং সিট, আধুনিক সুরক্ষা ব্যবস্থা সম্বলিত এই ট্রেন এখন দেশের প্রিমিয়াম ট্রেনগুলির মধ্যে অন্যতম।
আর এখন এই সেমি হাইস্পিড ট্রেনের স্লিপার কোচের অপেক্ষায় রয়েছে দেশবাসী। সম্প্রতি, রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড বা RVNL মহারাষ্ট্রের মারাঠাওয়াড়ায় একটি রেল কোচ ফ্যাক্টরি উদ্বোধন করেছে। জানা গিয়েছে, এই ফ্যাক্টরিতে আগামী ৩৫ বছর ধরে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচ তৈরি করা হবে। রেল বিকাশ নিগম লিমিটেড এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে। কিন্তু এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে কেমন হতে পারে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বন্দে ভারত স্লিপার কোচ
বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ভারতের আধুনিক রেল পরিষেবার একটি উজ্জ্বল মাইলফলক হিসেবে যাত্রীদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। এই সেমি হাইস্পিড ট্রেন মূলত উচ্চ গতির এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় যাত্রী পরিষেবা দেওয়ার জন্য বিখ্যাত। বর্তমানে দেশে যেসব বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি চলছে, সেগুলিকে শুধুমাত্র সিটিং কনফিগারেশন রয়েছে। তবে ভবিষ্যতে এই ট্রেনে স্লিপার কোচ যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। এর ফলে লম্বা দূরত্বের যাত্রীরা বাড়তি সুবিধা পাবেন।
বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্লিপার কোচ কেমন হবে?
(১) উন্নত সুরক্ষা ব্যবস্থা: বন্দে ভারতের স্লিপার কোচগুলিতে আধুনিক সিসিটিভি ক্যামেরা, স্মার্ট লক ব্যবস্থা, এবং অ্যালার্ম সিস্টেম থাকবে।
(২) আরামদায়ক ব্যবস্থা: এই বিশেষ কোচে উন্নতমানের বেডিং এবং আর্গোনোমিক ডিজাইনের সিট দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে যাত্রা আরো বেশি আরামদায়ক হবে।
(৩) অটোমেটিক দরজা: বন্দে ভারতের স্লিপার কোচগুলিতে অটোমেটিক দরজার থাকবে, যা ট্রেনের গতির সাথে সামঞ্জস্য রেখে খোলা এবং বন্ধ হবে।
(৪) উন্নত শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা: স্লিপার কোচে আরামদায়ক শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা থওকবে যা গ্রীষ্ম বা শীত, সব ঋতুতেই যাত্রীদের একটি আরামদায়ক ভ্রমণের অভিজ্ঞতা প্রদান করবে।