কলকাতাঃ আর কয়েকদিন পরেই শুরু হচ্ছে ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল লিগ প্রতিযোগিতা ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বা ISL। মাত্র ২ দিন পরেই এই বড় টুর্নামেন্টে পা রাখতে চলেছে কলকাতার জনপ্রিয় ক্লাব মোহনবাগান। ঘরের মাঠেই ISL অভিযান শুরু করছে সবুজ-মেরুন ক্লাব। কলকাতার যুবভারতী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হচ্ছে গত বারের লিগ শিল্ড চ্যাম্পিয়ন মোহনবাগান সুপার জায়ান্টস এবং নকআউট চ্যাম্পিয়ন মুম্বই সিটি এফসি।
তবে ISL 2024 শুরুর আগেই বিরাট চিন্তায় পড়েছেন মোহনবাগানের কোচ জোসে মোলিনা। কোচ সহ টিম ম্যানেজমেন্টের এই চিন্তার কারণ হচ্ছে দলের খেলোয়াড়দের চোট পাওয়া এবং তাঁদের পুরোপুরি ফিট না হওয়া। ম্যাচের দু’দিন আগেও দলের অনেক তারকা ফুটবলার পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি। কাউকে আইস ব্যাগ নিয়ে থাকতে দেখা গেছে, কেউ আবার ফিজিও করেই অনুশীলন থেকে ফিরে গেছেন সাজঘরে। তাহলে ISL 2024-এ কেমন পরিকল্পনা করে মাঠে নামবে মোহনবাগান? কাঁদের নিয়ে বাড়তি চাপে রয়েছেন কোচ? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বাগানকে সমস্যায় ফেলবে ম্যাকলারেনের চোট
গত কয়েকমাস ধরেই চোটের সমস্যায় ভুগছেন বাগানের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার জেমি ম্যাকলারেন। প্রায় দেড় মাস কেটে গেলেও এখনো পুরোপুরি ফিট হতে পারেননি তিনি। মাঝেমধ্যে তাঁকে মাঠে নেমে অনুশীলন করতে দেখা গেলেও বেশিরভাগ সময়ই আইস-ব্যাগ নিয়ে কাটাতে দেখা যাচ্ছে জেমিকে। সাধারণত ভারতে এসে বিভিন্ন সমস্যা হয় ভিনদেশী ফুটবলারদের। কিন্তু জেমির চোট যেভাবে দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, তাতে ককরে তাঁকে ঘিরে ISL 2024 পরিকল্পনা করতেও সমস্যায় পড়ছে দল।
আশা জাগিয়েও নিরাশ করতে পারেন পেত্রাতোস
ম্যাকলারেনকে নিয়ে চিন্তায় থাকার কারণে বিকল্প খুঁজতে হিমশিম খেতে হচ্ছে সবুজ-মেরুন শিবিরকে। তবে এর মাঝে আশার আলো জাগাচ্ছেন পেত্রাতোস। তোকে এবং কামিন্সকে ভালোভাবে অনুশীলন করতে দেখা গেছে ISL শুরুর আগে। দেখে দুজনকে ফিট মনে হয়েছে। তবে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচে পেত্রাতোসকে আনফিট লেগেছিল। তাই আশা জাগালেও শেষমেষ নিরাশ করতে পারেন এই ফুটবলার।
ডিফেন্স নিয়ে চিন্তা কমছে না মোহনবাগানের
ডিফেন্স লাইনে দুর্বলতার কারণে ডুরান্ড কাপের ফাইনাল ম্যাচের প্রথমার্ধে এগিয়ে থেকেও ম্যাচ হারতে হয়েছে মোহনবাগানকে। হেক্টর য়ুসতে, আনোয়ার আলি একসঙ্গে দল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার কারণে দুর্বল হয়েছে দলের ডিফেন্স লাইন। ISL 2024-এ এই সমস্যা কাটাতে দীপেন্দু বিশ্বাসের সঙ্গে টম আলদ্রেডকে মাঠে নামাতে পারে দল। তবে ভিনদেশী স্ট্রাইকার ও মিডফিল্ডারদের আটকানো তাঁদের পক্ষে কঠিন হতে পারে।