ইন্ডিয়া হুড ডেস্কঃ ভারতীয় ফুটবলের উৎসব শুরু হচ্ছে আজ থেকেই। ইতিমধ্যে ইন্ডিয়ান সুপার লিগকে ঘিরে দেশের ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনার পারদ উঠেছে তুঙ্গে। বিশেষ করে ফুটবলের জ্বরে আচ্ছন্ন বিদ্রোহের কলকাতাও। আর এই মরশুম শুরুর আগেই সমস্যায় পড়েছে কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় ফুটবল ক্লাব ইস্টবেঙ্গল। আনোয়ার আলির শাস্তি ও জরিমানা যেন গলার কাঁটা হয়ে বিঁধে রয়েছে লাল-হলুদ শিবিরে।
অনৈতিকভাবে ট্রান্সফারের দায়ে ৪ মাসের জন্য আনোয়ার অলিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের প্লেয়ার স্ট্যাটাস কমিটি। একইসঙ্গে ১২ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার জরিমানাও করা হয়েছে নিয়ম ভঙ্গের কারণে। এই নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাইতে ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি এবং আনোয়ার আলি দিল্লি হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন দায়ের করেছে।
ইস্টবেঙ্গলের আদালতে যাওয়ার বিরুদ্ধে মোহনবাগানের পদক্ষেপ
ISL 2024-25 মরশুম শুরুর আগে দুই ক্লাব ও ভারতের এই ফুটবলারের নেওয়া এই পদক্ষেপকে কেন্দ্র করে ফুটবল মহলে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। তবে ইস্টবেঙ্গলের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মোহনবাগান কঠোর অবস্থান নিয়েছে। সবুজ-মেরুন ক্লাবের দাবি, ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি ও আনোয়ার ফেডারেশনের নিয়ম লঙ্ঘন করেছে। একইসঙ্গে তাঁরা এই মামলার বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে আপিল করেছে। এটিকেও নিয়মবিরুদ্ধ বলে দাবি করেছে মোহনবাগান।
বড় অভিযোগ সামনে আনলো মোহনবাগান
মোহনবাগানের অভিযোগ, ফেডারেশনের অ্যাপিল কমিটি বা সিএএস-এর কাছে আবেদন করার পরিবর্তে সরাসরি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে এই তিন পক্ষ, যা ফেডারেশন এবং এশিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের নিয়মের পরিপন্থী। এ কারণে, মোহনবাগান ফেডারেশন এবং এএফসি-র কাছে চিঠি পাঠিয়ে এই তিন পক্ষের বিরুদ্ধে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছে। মোহনবাগানের মতে, এই ধরনের আইনভঙ্গ ফুটবলে একটি খারাপ নজির স্থাপন করতে পারে এবং এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
আনোয়ার আলির ভবিষ্যৎ নিয়ে টালমাটাল পরিস্থিতি
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দিল্লি হাইকোর্টে একযোগে ইস্টবেঙ্গল, দিল্লি এফসি এবং আনোয়ার আলি এই রিট পিটিশন দায়ের করে। আনোয়ার আলির নির্বাসনকে ঘিরে এই পরিস্থিতির উদ্ভব হলেও, পুরো বিষয়টি এখন ফেডারেশন এবং এএফসি-র উপর নির্ভর করছে।