চাইনিজ স্মার্টফোন নিষিদ্ধ করবে ভারত! প্রকাশ্যে এল বিস্ফোরক তথ্য! ভারতে মধ্যবিত্তের নাগালের মধ্যে থাকা স্মার্টফোনের বাজারের সিংহভাগই চিনের বিভিন্ন মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার দখলে। তাদের মধ্যে অন্যতম হল Oppo, Vivo, Xioami, Realme। তবে ভারত ও চিন এর মধ্যে যে এক দ্বিপাক্ষিক টানাপড়েনের সম্পর্ক আছে তা সকলেরই জানা। এমনকি এর আগে তার প্রমাণও মিলেছিল। তথ্য চুরির অভিযোগে বিভিন্ন সময়ে বেশ কিছু চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ করতে দেখা গিয়েছে ভারত সরকারকে। তবে সম্প্রতি এবার উঠে এল এক নয়া বিস্ফোরক তথ্য।
বেশ কিছু বছর আগে চিনা স্মার্টফোন নিয়ে জল্পনা উঠেছিল। শোনা গিয়েছিল ভারতে নাকি খুব শীঘ্রই ১২ হাজার টাকার কম মূল্যের চিনা স্মার্টফোন নিষিদ্ধ হয়ে যেতে চলেছে। তবে সেই জল্পনা যে ভিত্তিহীন তা তখনই প্রকাশ্যে এসেছিল। কিন্তু এবার সেই জল্পনায় যেন বাস্তবে পরিণত হতে চলেছে।
ক্রিস মিলারের মন্তব্য চিন্তায় ফেলেছে চীনকে
সূত্রের খবর, চিপ ওয়ার বইয়ের লেখক ক্রিস মিলার সম্প্রতি একটি শীর্ষ সম্মেলনে বক্তৃতা দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ভারতের স্মার্টফোন শিল্প ব্যবস্থা সম্পর্কে নানা প্রশংসাও করেছেন। এমনকি সেই সম্মেলনে তিনি এও বলেছিলেন যে যত দিন যাচ্ছে যত সময় উন্নত হচ্ছে ভারতের স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি এতটাই ক্ষমতা অর্জন করছে যে আর কিছুদিনের মধ্যে খুব সহজেই চীনা স্মার্টফোনকে পরাস্ত করতে পারবে। এখানেই তিনি থেমে থাকেননি। তিনি আরও জানিয়েছেন যে ভারত যে হারে পরিবহন ব্যবস্থাকে এক উন্নত পর্যায় নিয়ে যাচ্ছে, ঠিক সেভাবেই স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকেও সমান গতিতে উন্নত মানে বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চলেছে।
বিশ্বজুড়ে মোবাইল উৎপাদনে দ্বিতীয় স্থানে ভারত
সাম্প্রতিক এক রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছে বিশ্বজুড়ে মোবাইল উৎপাদনে ভারত এই মুহূর্তে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে৷ ‘Make In India’ প্রকল্পের অধীনে ২০১৪ থেকে ২০২২ পর্যন্ত দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি মোবাইল ফোনের উৎপাদন প্রায় দুই বিলিয়ন, অর্থাৎ ২০০ কোটি ছাড়িয়েছে। পাশাপাশি সেখানে এও বলা হয়েছে যে ভারত বছরে ২৩ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হারে মোবাইল ফোনের রফতানি করছে।
আরও পড়ুনঃ সুযোগ পেলেও, বিশ্বকাপে শুধু জল বইবেন টিম ইন্ডিয়ার এই ৪ প্লেয়ার! শেষ নামটা অবিশ্বাস্য
ক্রমবর্ধমান উৎপাদনের ধারা বজায় রেখে উন্নতির লক্ষ্যে চলেছে দেশের মোবাইল সেক্টর। এর পরিস্থিতিতে একটি ‘সেমিকন্ডাক্টর ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপোর্ট হাব’ হিসাবে গড়ে ওঠার জন্য Phased Manufacturing Programme (পিএমপি), Make In India, Production Linked Insensitive (পিএলআই), এবং Atmanirbhar Bharat (স্বনির্ভর ভারত) সহ বেশ কয়েকটি প্রকল্পকে কাজে লাগাতে চাইছে ভারত।