সোলার অতীত, এবার বাড়িতে বসবে নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর! বছরের পর বছর মিলবে সস্তার বিদ্যুৎ

Published on:

Hylenr nuclear reactor in house

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: সমাজ যত উন্নত হচ্ছে, ততই উৎপাদনের সংখ্যা বাড়ছে বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি। যার ফলে বিদ্যুতের চাহিদাও পাল্লা দিয়ে বেড়ে চলেছে। প্রতিদিন লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলা চাহিদার যোগান দিতে চাপ বাড়ছে বিদ‌্যুৎ বণ্টন পরিষেবার উপর। গরমের মরশুমে এই চাহিদা যেন ভয়ংকর রূপ নেয়। কিন্তু এই আবহে ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে অনেকেই সোলার প্যানেলের ব্যবস্থার প্রতি আগ্রহ বাড়াচ্ছে।

আসলে সোলার প্যানেল প্রাকৃতিক উপায়ে সূর্যের থেকে আসা রশ্মিকে গ্রহণ করে বিদ্যুৎ হিসেবে সঞ্চয় করে রাখে। যার ফলে যত খুশি চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হোক না কেন, বিদ্যুতের বিল আসবে খুবই কম। তবে বর্তমানে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ এর অধিক চাহিদার কথা মাথায় রেখেই ভারত আবিষ্কার করল পারমাণবিক চুল্লি। যার ফলে ভবিষ্যতে নিমেষেই বিদ্যুৎ এর ঘাটতি কমতে চলেছে। আজকের প্রতিবেদনের মাধ্যমে সম্পূর্ণটা জেনে নেওয়া যাক বিস্তারিত।

WhatsApp Community Join Now

পারমাণবিক চুল্লি আবিষ্কার ভারতে!

সূত্রের খবর, বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম হায়দরাবাদের একটি ভারতীয় স্টার্টআপ কোম্পানি সম্প্রতি এক অভূতপূর্ব জিনিস আবিষ্কার করেছে। জানা যায় এই চমৎকার আবিষ্কারের ফলে ঘরে ঘরে এবার সকলেই পারমাণবিক চুল্লি স্থাপন করতে পারে। এমনকি লো-এনার্জি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর বাড়ির টেবিলে রাখা যাবে। হবে না কোনও দূষণ বা কোনও ধরণের তেজস্ক্রিয় বিকিরণ। যা গোটা বিশ্বের কাছে সাড়া ফেলে দিয়েছে। হায়দরাবাদের এই দেশীয় স্টার্টআপ কোম্পানিটির নাম ‘Hylenr’।

কী লো-এনার্জি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টর?

আসলে এই লো-এনার্জি নিউক্লিয়ার রিঅ্যাক্টরটি পারমাণবিক ফিউশন প্রযুক্তির উপর নির্ভর করে নির্মাণ করা হয়েছে। যা সূর্যের মধ্যেই একমাত্র পাওয়া যায়। এর সাহায্যে যেমন গরম বাড়ানো যায়তেমনই হাইড্রোজেন অণুগুলি একত্রিত হয়ে তাপ উৎপাদন করা যায়। অল্প পরিমাণ বিদ্যুৎ ব্যবহার করে অত্যাধিক পরিমাণে শক্তি এবং তাপ উৎপাদন করা যায়। প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যায়।

প্রসঙ্গত, এই পারমাণবিক চুল্লিটি আবিষ্কার করতে হায়দরাবাদের এই দেশীয় স্টার্টআপ কোম্পানিটির সময় লেগেছে প্রায় ১০ বছর। দাম ধার্য করা হয়েছে ১ লক্ষ টাকা। এই প্রসঙ্গে ডঃ রামা রাও বলেন, ‘ বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষ নিউক্লিয়ার ফিউশনের নাম শুনলেই আঁতকে উঠবেন। তবে এতে ভয়ের কিছু নেই। এই পারমাণবিক চুল্লিটির অতিরিক্ত শক্তি তৈরি করতে কেবল হাইড্রোজেন, নিকেল এবং প্যালাডিয়াম যুক্ত করা হয়েছে। এর থেকে নির্গত শক্তি তেজস্ক্রিয় কোনও দূষণ ছড়াবে না পরিবেশে।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন