বৈশাখের দহনে পুড়ছে গোটা বাংলা-সহ একাধিক রাজ্য! সঙ্গে বইছে অসহনীয় তীব্র তাপপ্রবাহ! আজও বঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কবার্তা। এমতাবস্থায় চাতকপাখির মত আকাশের দিকে চেয়ে আছে গোটা রাজ্যবাসী। তবে কি আর দেখা মিলবে না স্বস্তির কালবৈশাখী? কিন্তু এই অবস্থায় খানিক স্বস্তির বার্তা দিল আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তেই মিলবে স্বস্তির স্বাদ।
আজকের আবহাওয়া
কড়া রোদের দাপটে আজও সকাল থেকে হাঁসফাঁস অবস্থা গোটা বাংলার। বেলা যত বেড়েছে তাপপ্রবাহ যেন আরও বেশি তীব্র এবং জ্বলপূর্ণ হয়ে উঠেছে। আজও অতি তীব্র তাপপ্রবাহের চরম সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায়। এই সাত জেলাগুলি হল পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া। তাপমাত্রা প্রায় ৪২.৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সেই সঙ্গেই পাল্লা দিচ্ছে বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতা। ফলে তিতিবিরক্ত আবহাওয়ায় শহরের উষ্ণতম দিনে বৃষ্টির আশ্বাস দিল আবহাওয়া দফতর।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী রবিবার অর্থাৎ ৫ মে রাজ্যের কয়েকটি জায়গায় হালকা বৃষ্টি নামতে পারে। সঙ্গে পড়তে পারে বাজ। তবে, রাজ্যের সব জায়গায় নয়, কয়েকটি জেলাই কেবল শান্তির বৃষ্টির সাক্ষী হতে পারে, অন্তত তেমনটাই বলছে রিপোর্ট। আগামী রবিবার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় হালকা বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হতে পারে। এবং সোমবার অর্থাৎ ৬ মে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই।
দক্ষিণা বাতাসের প্রভাব
সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগর থেকে ঢোকা যে দখিনা হাওয়ার জন্য দক্ষিণবঙ্গে গ্রীষ্মকালে ঝড়বৃষ্টি হয়, সেই বাতাস আগামী রবিবারের পর থেকে রাজ্যে ঢোকা শুরু করতে পারে। যার জেরে বৃষ্টি হলেও হতে পারে গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে। অন্যদিকে উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়িতে বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে ঘণ্টায় ৪০-৪৫ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বইতে পারে।