ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ধন্যি ‘মে’ মাস! একের পর এক ঘূর্ণিঝড় যেন এই মাসেই খেলা দেখিয়ে যায়। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। গত রবিবার মধ্যরাতে বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সংলগ্ন উপকূলে আছড়ে পড়েছিল ‘রেমাল’। যার জেরে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় দুর্যোগ নেমে এসেছে। রাস্তায় রাস্তায় গাছ ভেঙে পড়ার পাশাপাশি হাঁটু পর্যন্ত জল, পাওয়ার কাট একপ্রকার দুর্যোগের দিন কেটেছিল গতকাল সারাদিন। আর এই দুর্যোগের মাঝে সকলের মনে একটাই প্রশ্ন দেশে বর্ষা প্রবেশের সময়কাল নিয়ে। আন্দামান এবং নিকবর দ্বীপপুঞ্জে ইতিমধ্যেই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে ভারতের মূল ভূখণ্ডে এখনও বর্ষা প্রবেশ করেনি। তবে কি সাইক্লোনের জেরে কি আগমনের দিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা? এই নিয়ে নিয়ে বড় আপডেট দিল IMD।
কেরলে কবে বর্ষা?
এর আগে IMD ঘোষণা করেছিল যে চলতি মরশুমে আগাম বর্ষার প্রবেশ ঘটবে দেশে। আগামী ৩১ মে কেরালায় বর্ষা শুরুর নির্ঘণ্ট বার্তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গতকাল অর্থাৎ সোমবার, মৌসম ভবনের তরফে জানানো হয়েছে যে আগামী পাঁচদিনের মধ্যে কেরলে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশের জন্য অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। অর্থাৎ মে মাসের শেষে বা জুনের প্রথমেই কেরলে বর্ষা প্রবেশ করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
এদিকে অন্ধ্র প্রদেশের গুণ্টুর জেলার মৌসম বিভাগ জানাচ্ছে, আগামী পাঁচদিন অর্থাৎ ১ জুনের আগেই কেরালায় বর্ষার প্রবেশ ঘটবে। দক্ষিণ আরব সাগরের বেশি কিছু অংশ, মলদ্বীপ এবং কমোরিন দ্বীপে ইতিমধ্যেই দক্ষিণ পশ্চিম বর্ষা শুরু হয়ে গিয়েছে। লাক্ষাদ্বীপ, কেরালা, দক্ষিণ পশ্চিম এবং মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকা এবং উত্তর পূর্বের কিছু কিছু রাজ্যে শীঘ্রই বর্ষার বৃষ্টি শুরু হবে বলেই ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
বাংলায় বর্ষা কবে?
তবে, বাংলায় কবে বর্ষা ঢুকবে, সে বিষয়ে আপাতত কোনও স্পষ্ট নির্দেশিকা প্রকাশ করেনি মৌসম ভবন। হিসাব অনুযায়ী প্রতিবার সাধারণত ১১ জুনের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষা প্রবেশ করে যায়। তবে সেটি নির্ভর করে কেরলে প্রবেশের পরে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু সক্রিয়তার ওপর। অর্থাৎ কেরলে স্বাভাবিক সময়ে বর্ষা ঢুকলেও পশ্চিমবঙ্গে যে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু প্রবেশ করবে, সেরকম কোনও নিশ্চয়তা নেই।