ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: অশনি সঙ্কেত! আমফানের ভয়ঙ্কর স্মৃতি উস্কে দিয়ে জন্ম নিয়েছে আরও এক ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়! এপ্রিলের ভয়ঙ্কর গরমের তীব্র জ্বালায় হাঁসফাঁস অবস্থা হয়েছিল রাজ্যবাসীর। অবশেষে বৈশাখের শেষবেলায় সকলকে স্বস্তি দিয়ে এক রাতের কালবৈশাখীর দাপট ও মাঝারি বৃষ্টি স্বস্তি এনে দিয়েছিল। এবং এক ধাক্কায় কমিয়ে দিয়েছিল তাপমাত্রা। যার দরুন কিছুটা স্বস্তির সপ্তাহ কাটিয়েছে রাজ্যবাসী। কিন্তু এর মাঝেই মে মাসের শেষেই পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ উপকূলে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ দেখা দিতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
রেমালের চোখ রাঙানি!
সূত্রের খবর ইতিমধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। আশা করা হচ্ছে আগামী ২০ মে-র মধ্যে গভীর নিম্নচাপ ঘণীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ের চেহারা নিতে পারে। সেটি সোজা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি বৃদ্ধি করবে। ২৪ মে সেটি ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। ২৫ মে সন্ধ্যার পর সেটি পশ্চিমবঙ্গ বা বাংলাদেশ দিয়ে ভূভাগে প্রবেশ করতে পারে। বঙ্গোপসাগরে সাইক্লোন তৈরি হলে তার নাম হবে রেমাল। তবে এর গতিপথ ও অভিমুখ কোনদিকে হতে পারে তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয়নি হাওয়া অফিস। এমনকি কতটা শক্তিশালী হবে বা আদৌ সুপার সাইক্লোনের রূপ নেবে কিনা তা পরবর্তী সময়ে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখেই বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
আমফানের বিধ্বংসী প্রভাব!
২০২০ সালের ২০মে আঘাত হেনেছিল বিধ্বংসী সাইক্লোন আমফান। যার জেরে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল প্রায় গোটা দক্ষিণবঙ্গে। শুধু আমফান নয়। প্রতি বছর মে-মাসে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে একাধিক শক্তিশালী সাইক্লোন আঘাত হেনেছে। যা একদিকে চিন্তা বাড়াচ্ছে আবহাওয়াবিদদের। কারণ হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে বিশ্ব উষ্ণায়ন।
আরও পড়ুনঃ গরম অতীত, এবার রোজ হবে বৃষ্টি! সময়ের আগেই আসছে বর্ষা, দিনক্ষণ জানাল আবহাওয়া দফতর
তবে আসন্ন সাইক্লোন বিষয়ে মনে করা হচ্ছে আমফান এর মত অতি শক্তিশালী নাও হতে পারে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সর্বোচ্চ গতিবেগ ১০০ কিলোমিটার হতে পারে। যার জেরে উপকূল এলাকায় কিছু ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এই ঘূর্ণিঝড়ের জেরে ২৪ মে রাত থেকে বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ মে পর্যন্ত।