ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কলকাতায় আমফানের রূপের দৃশ্য কোনোদিনও ভুলতে পারবে না সাধারণ মানুষ। এক ঝটকায় উথাল পাথাল করে দিয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ সহ গাঙ্গেয় উপকূল। এবার সেই স্মৃতি আরও একবার হানা দিতে চলেছে গাঙ্গেয় বঙ্গে। তেমনই আশঙ্কা করছে আবহাওয়া দফতর। তবে কি ভোটের আগেই লন্ডভন্ড হতে চলেছে কলকাতা?
সূত্রের খবর, এই মুহূর্তে দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এবং সংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হয়েছে নিম্নচাপ অঞ্চল। যা অবস্থান করছে দক্ষিণ অন্ধ্রপ্রদেশ এবং উত্তর তামিলনাড়ুর উপকূলের কাছে। ধীরে ধীরে সেটি শক্তি আহরণ করে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোচ্ছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা সব ঠিকঠাক চললে আগামীকাল অর্থাৎ শুক্রবার সকালে এই নিম্নচাপ গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। এবং বঙ্গোপসাগরের উপর দিয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে এগোবে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা নিয়ে ইতিমধ্যে চিন্তা বাড়াচ্ছে কলকাতাবাসীকে।
আবহাওয়াবিদদের দাবি
গতকাল আবহাওয়া দফতর এর একাধিক মডেল মারফৎ জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যার পর ঘণ্টায় ৮০ – ১০০ কিলোমিটার গতিতে কলকাতায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। হাওয়া অফিসের বহুল ব্যবহৃত ২টি মডেল বুধবার বিকেলে বলছে, প্রায় ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতই এগোবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। তৃতীয় শ্রেণির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর সেটি আগামী রবিবার সন্ধ্যার পর সাগরের কাছাকাছি কোনও জায়গা দিয়ে ভূূভাগে প্রবেশ করবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। এর পর ক্রমশ উত্তর পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে ঝড়ের কেন্দ্র।
আরও পড়ুনঃ হাইকোর্টের এক রায়ে বাতিল ৫ লাখ OBC কার্ড, আপনারটা ঠিক আছে? জেনে নিন এভাবে
ইতিমধ্যেই আজকের মধ্যে মৎস্যজীবীদের ফিরে আসতে বলা হয়েছে সমুদ্র থেকে। মধ্য এবং দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে বৃহস্পতিবার থেকে এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৎস্যজীবীদের যেতে বারণ করা হয়েছে। ২৬ মে, রবিবার পর্যন্ত জারি থাকবে নিষেধাজ্ঞা। সৃষ্টি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষতি হতে চলেছে। সুন্দরবন ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ভাঙতে পারে সমুদ্র বা নদীবাঁধ। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।