ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া নিম্নচাপ বড়ই চিন্তা বাড়াচ্ছে বঙ্গবাসীকে! বার বার মনে করিয়ে দিচ্ছে আমফানের মত ভয়ংকর বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড়ের কথা। মে মাস আসলেই গোটা রাজ্যবাসীর মনে এক আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। আর সেই আতঙ্কের অন্যতম কারণ হল ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড়। যত কাণ্ড এই মে’তেই। আয়লা থেকে শুরু করে আমফান, ফনী, ইয়াস সবকিছুই হয়েছে মে- এর সন্ধিক্ষণে। এবারেও নাকি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে , উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হবে এই নিম্নচাপ। আগামী শুক্রবার তা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। পরে সেটি অতি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। যার দরুন ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার পাশাপাশি ঝোড়ো হাওয়া বইবার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেই অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে কিনা, এবং তৈরি হলেও সেটি কোন পথে এগোবে তা এখনও স্পষ্ট বলতে পারছেন না আবহাওয়াবিদরা।
চোখ রাঙাচ্ছে রেমাল!
যদি এই অতি গভীর নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয় তাহলে এর নাম হবে ’রেমাল’। জানা গিয়েছে এ নামটি ওমানের দেওয়া। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ ‘বালু’। আবহাওয়াবিদদের একাংশ মনে করছে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ২৪ মে রাত থেকে বাংলাদেশের উপকূল এলাকায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে। বৃষ্টি চলতে পারে ২৬ তারিখ পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত দিল্লির মৌসম ভবন থেকে সরকারি ভাবে কোনও বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি। অতি গভীর নিম্নচাপ হওয়ার পর এটির দিক ও গতি পরিবর্তন হতে পারে। তবে বিশ্বের বিভিন্ন আবহাওয়া রিসার্চ মডিউল দাবি করছে এই সিস্টেমের ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
ঘূর্ণাবর্ত এর দাপট রাজ্য জুড়ে
ইতিমধ্যে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে সোমবার থেকে দক্ষিণবঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। আগামী সাতদিন এই দুর্যোগ চলবে। সপ্তাহান্তে বৃষ্টি আরও বাড়বে। আবার শুক্রবার থেকে ফের বৃষ্টি বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর,শুক্রবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা উপকূলের দুই জেলায়। ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিম মেদিনীপুর ও উত্তর ২৪ পরগনায়। সঙ্গে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার গতিবেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইবে।