ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আমফানের চোখ রাঙানি আরও একবার! আবারও কি তবে তছনছ হবে বাংলা! ঘুরে ফিরে সেই মে মাস। প্রতি বছরের মত এই বছরেও ঘূর্ণিঝড়ের অশনিসঙ্কেত বার্তা নিয়ে এসেছে মে মাস। আয়লা থেকে শুরু করে ফেনি ও ইয়াস সব ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ঘটেছে এই মে মাসেই। সাধারণ মানুষের মনে যেন এক ভয়ের সন্ত্রাস গড়ে তুলেছে বছরের এই পঞ্চম মাস। কিন্তু ভয় কি এবারও ঘনিয়ে আসছে? কী বলছে মৌসম ভবন?
বেশ কয়েকদিন ধরে বঙ্গে আরও এক ঘূর্ণিঝড় নিয়ে জোর জল্পনা চলছে। বঙ্গোপসাগরে নাকি শক্তিশালী রূপ ধারণ করে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হচ্ছে। ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় রেমাল। যার নামকরণ করেছে ওমান। এটি একটি আরবি শব্দ। এই নামের অর্থ ‘বালু’। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে বাংলার বুকে এই ঘূর্ণিঝড় কতটা প্রভাব ফেলতে চলেছে? এবার তাই নিয়েই মুখ খুলল মৌসম ভবন।
কতটা ভয়ঙ্কর হবে ঘূর্ণিঝড় রেমাল!
সম্প্রতি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া নিম্নচাপ নিয়ে আবহবিদরা নানা পরীক্ষা নিরীক্ষা করছেন। এবং অবশেষে তাঁরা জানিয়েছেন, নিম্নচাপ একটি নয়, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগর মিলিয়ে জোড়া নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একটি নিম্নচাপ আগামী ২২ মে আরব সাগরে সৃষ্টি হতে পারে। এবং অপর নিম্নচাপটি ২৩ মে নাগাদ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে পারে। তবে নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হবে কিনা তা স্পষ্ট করতে বেশ কয়েকটি কারণ তুলে ধরল হাওয়া অফিস।
আরও পড়ুনঃ দক্ষিণবঙ্গে ফের তাপপ্রবাহের অ্যালার্ট! কবে বৃষ্টি? চরম সুখবর দিল আবহাওয়া দফতর
আসলে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য সমুদ্রের তাপমাত্রা সাধারণত ২৬.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস হতে হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে বঙ্গোপসাগর জুড়ে তাপমাত্রা রয়েছে ৩০-৩১ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা কিনা ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির অনুকূল কারণ। দিন যত এগোবে নিম্নচাপ ততই শক্তি বাড়ানোর সম্ভাবনা বাড়বে। এবং আশা করা হচ্ছে ২৪ মে-র পর গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির ক্ষেত্রে সবুজ সংকেত দেয়নি আবহাওয়া দফতর। তবে এইটুকু আশা করা হচ্ছে যদিও বা ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয় তাহলে তা আমফানের মত খুব শক্তিশালী আকার ধারণ করবে না।
তাপপ্রবাহের সতর্কতা!
ইতিমধ্যেই পূর্ব, উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম ভারতে তাপপ্রবাহ নিয়ে সতর্কতা জারি করেছে মৌসম ভবন। পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের কয়েকটি রাজ্যে ভারী সতর্কতাও দেওয়া হয়েছে। মৌসম ভবন জানিয়েছে, ১৮ মে পর্যন্ত তীব্র তাপপ্রবাহ চলবে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, পঞ্জাব এবং হরিয়ানায়।