তীব্র তাপপ্রবাহ যেন কাঁটার মত বিঁধছে শরীরে। তার উপর চড়া রোদ। এমনই অবস্থা দক্ষিণবঙ্গের। তবে শুধু দক্ষিণবঙ্গ নয় এমনই ভয়ংকর চিত্র ফুটে উঠেছে পশ্চিমের জেলাগুলিতে। কাজের ফাঁকে সূর্যের তেজ থেকে বাঁচতে এক টুকরো ছায়ার খোঁজ এর অপেক্ষায় থাকছে পথচলতি মানুষেরা। প্রায় প্রতিদিন বেলা বাড়তেই খাঁ, খাঁ করছে রাস্তাঘাট। তবে এর মাঝে খানিক স্বস্তির বার্তা দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর। সপ্তাহান্তে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে।
জোড়া ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি!
আবহাওয়া সূত্রের খবর, বঙ্গোপসাগর থেকে দক্ষিণ পশ্চিমী বায়ুর প্রবেশ শুরু হয়েছে। যার জেরে বেশ কয়েক জায়গায় অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। এইমুহুর্তে বাংলাদেশের উত্তরপূর্ব দিকে সিলেট অঞ্চলের ওপরে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। এই ঘূর্ণাবর্তের দরুন বাংলাদেশের বিস্তৃত অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। শুধুমাত্র বাংলাদেশ নয়। ঘূর্ণাবর্তের সৃষ্টি হয়েছে অসমে। অর্থাৎ অসমের উত্তরপূর্বে অরুণাচল প্রদেশ ঘেঁষে একটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। যার জেরে আগামী আগামী পাঁচদিন অরুণাচল প্রদেশ, অসম, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং সিকিমে বজ্রপাত সহ বৃষ্টি এবং ঝড় হতে পারে।
ঘূর্ণাবর্তের জালে উত্তরবঙ্গ!
বাদ যাবে না পশ্চিমবঙ্গের উত্তরের দিকে এলাকাগুলি। আজ থেকেই দার্জিলিং, কালিম্পং এলাকায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আগামী ৪ মে থেকে ৮ মে পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি এলাকায় বজ্রপাত সহ মাঝারি বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি ঘূর্ণাবর্তের দাপটে তাপমাত্রা কমতে পারে প্রায় ২-৩ ডিগ্রী। তবে শুধু উত্তরবঙ্গের এলাকা নয়। স্বস্তির বৃষ্টির ছোঁয়া পেতে পারে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিও।
আবহাওয়া সূত্রের খবর, বৈশাখের শেষ দিকে এসে অবশেষে দেখা মিলতে চলেছে কালবৈশাখীর। আগামী ৫ মে থেকে দুই ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, বীরভূম, নদীয়া এবং মুর্শিদাবাদে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে বইবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া। যা আগামী ৮ মে পর্যন্ত চলবে। তবে সেক্ষেত্রে তাপমাত্রা খানিক কমলেও তা দীর্ঘস্থায়ী থাকবে না।