প্রীতি পোদ্দার: হাতে আর মাত্র কয়েকটা দিন। আর তারপরেই সামনেই মহালয়া। মহালয়ার রেশ কাটতে না কাটতেই ১ সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হয়ে যায় পুজো। ইতিমধ্যে শহরের বেশ কয়েকটি পুজোর প্যান্ডেলে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। তাইতো এখন থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে প্যান্ডেল হপিং এর তালিকা তৈরি করার। রীতিমত দ্বিতীয়া বা তৃতীয়া থেকেই শুরু হয়ে যায় প্যান্ডেল হপিং। কিন্তু এই আনন্দের মাঝেই মনের মধ্যে একটা সংকোচ বোধ থেকেই যায়। আর সেটি হল বৃষ্টিমুখর আবহাওয়া।
প্রায় কম বেশি প্রত্যেক বছর, দুর্গাপুজোর সময় নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে দেখা গিয়েছে। যার ফলে পুজোর কয়েকটা দিন মনমরা হয়েই থাকতে হয় সকলকে। তার উপর চলতি বছর বর্ষা বঙ্গে দেরি করে প্রবেশ করায় বৃষ্টির ঘাটতি হয়েছিল অনেক। যদিও শ্রাবণ এবং ভাদ্র মাসে নিম্নচাপের কারণে এবং সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার জেরে মুষলধারায় বৃষ্টি অনেকটাই ঘাটতি কমিয়ে দিয়েছে। কিন্তু আবহাওয়াবিদদের আশঙ্কা এখনও এই সক্রিয় মৌসুমি অক্ষরেখার রেশ এখনও কাটেনি। তাই স্বাভাবিকভাবে মনে প্রশ্ন জাগছে যে এবারেও কি মায়ের আরাধনার সময় দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হবে কিনা।
কেমন থাকবে পুজোর আবহাওয়া?
জানা গিয়েছে আগামী ২ অক্টোবর মহালয়া। এবং ৮ অক্টোবর পঞ্চমী। সেই সময় নাকি দুর্যোগের কাল মেঘ উঁকি ঝুঁকি মারতে পারে নীল আকাশে। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, প্রাক পুজো পর্বে আবার নিম্নচাপের আশঙ্কা তৈরি হচ্ছে গোটা বঙ্গে। আগামী সোমবার অর্থাৎ ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে নিম্নচাপের জেরে দক্ষিণবঙ্গে ফের হালকা থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। কিন্তু এই নিম্নচাপ আপাতভাবে নিম্নচাপ কোন অভিমুখে যায় এবং তার জেরে বাংলায় কতটা বৃষ্টি হয় সেই নিয়ে এখনই কিছু জানাতে পারছে না হওয়া অফিস।
বন্যা পরিস্থিতি বঙ্গে!
এদিকে গত সপ্তাহে নিম্নচাপ ও মৌসুমী অক্ষরেখার যৌথ প্রভাবে দক্ষিণবঙ্গে ঝমঝমিয়ে মুষলধারায় বৃষ্টি হওয়ায় বন্যার জলে ভেসে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গের একের পর এক গ্রাম। তারউপর ডিভিসি ক্রমাগত জল ছেড়েই চলেছে। এই আবহে তাঁদের কাছে পুজো প্রায় মাটি হয়ে গেছে। তবে বেসরকারি কিছু আবহাওয়া সংক্রান্ত ওয়েবসাইটের পূর্বাভাস বলে, ২ থেকে ৬ অক্টোবর অবধি বাতাসে ভরপুর জলীয় বাষ্প থাকবে। মহালয়া থেকে পুজোর আগে পর্যন্ত রাজ্যের কিছু জায়গায় সাময়িক ও হালকা বৃষ্টি হতে পারে।