ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ধরা দিয়েও যেন মুখ গোমরা করে বসে আছে বর্ষা। গত শুক্রবার দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলায় দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করলেও বৃষ্টির কোন রকম দেখা নেই। একেবারে হতাশপূর্ণ অবস্থা রাজ্যবাসীর। তার উপর সকাল থেকেই প্রখর রোদের তেজে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বেড়েই চলেছে। সঙ্গে আবার হাত মিলিয়েছে বাতাসের আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। গোটা দিন জুড়ে একেবারে পচা ঘর্মাক্ত অবস্থা রাজ্যবাসীর।
জুন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির বড় ঘাটতি
এদিকে জুন মাস প্রায় শেষের দিকে। ভরা বর্ষার মাসে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হালকা বৃষ্টির দেখা মিলছে তো কোথাও আবার সূর্যের তীব্র তেজ দেখা যাচ্ছে। যার ফলে সবমিলিয়ে জুন বৃষ্টির ঘাটতি অনেকটাই। আবহাওয়াবিদদের মতে, জুনে বৃষ্টির ঘাটতি দেখা গিয়েছে প্রায় ৭২ শতাংশ। এদিকে পূর্ব পশ্চিম অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত, এবং মধ্যপ্রদেশ বিহার এবং উত্তরবঙ্গের উপর দিয়ে গিয়েছে। যার ফলে উত্তরবঙ্গে অতি ভারী বৃষ্টির দাপট দেখা গিয়েছে। তাইতো সেখানে ৬৪ শতাংশ বেশি বৃষ্টির হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তবে দক্ষিণবঙ্গের বৃষ্টি নিয়ে অবশেষে খুশির খবর দিল হাওয়া অফিস।
আজ অর্থাৎ বুধবার বেলা গড়াতেই প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই যে বৃষ্টি হবে তা কিন্তু নয়। কোথায় হালকা বৃষ্টি হবে তো কোথাও আবার হবে না। কিন্তু সপ্তাহ শেষে আবহাওয়ার বিরাট পরিবর্তন হতে চলেছে। আগামী শুক্রবার থেকে গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে বেশি মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানা গিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, জুনের ঘাটতি হয়ত কিছুটা মিটতে পারে পরের মাসে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এদিকে উত্তরবঙ্গের ৫ জেলা, দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টি চলবে এই সপ্তাহের শেষ পর্যন্ত। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। পাশাপাশি পাহাড়ি এলাকার নিচের অঞ্চলগুলি মালদা, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরও ভিজতে চলেছে। উত্তরবঙ্গের ওপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং কালিংপং আলিপুরদুয়ার কোচবিহারের জলপাইগুড়িতে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে ফের নদীর জলস্তর বাড়ার আশঙ্কা। ধস নামার আশঙ্কা থাকছে।