ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: বর্ষা আসতেই তীব্র গরম থেকে মুক্তি মিলবে এমনটাই আশায় ছিল মানুষ। কিন্তু সে আশায় জল ঢেলে দিয়েছে মৌসুমী বায়ু। আষাঢ়ের দ্বিতীয় সপ্তাহের আগমন ঘটলেও প্রবল বর্ষার দেখা নেই রাজ্য জুড়ে। এদিকে গত শুক্রবারেই দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করেছে দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমি বায়ু তেমনভাবে সক্রিয় না থাকায় বৃষ্টির দাপট এখনই দেখতে পাচ্ছে না বঙ্গবাসী। এদিকে বঙ্গোপসাগর থেকে পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতে জোরালো দক্ষিণ বা দক্ষিণ-পশ্চিমী বায়ু ঢুকছে ক্রমাগত। যার দরুন উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির দেখা মিলছে।
আজকের আবহাওয়া
ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই প্রখর রোদের সম্মুখীন গোটা রাজ্যবাসী। ফলত চড়চড়িয়ে বাড়ছে গরম। আবার বাতাসে অত্যাধিক জলীয় বাষ্প থাকার দরুন রয়েছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। তবে বেলা বাড়তেই আকাশে মেঘের সঞ্চার ঘটতে পারে। বিকেলের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আজকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস। এবং দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রী সেলসিয়াস।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর পরিমাণে জলীয় বাষ্প আসার কারণে উত্তরবঙ্গের কোনও কোনও জায়গায় প্রবল বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজ আলিপুরদুয়ার এবং কোচবিহারের কয়েকটি অংশে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হবে। দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। সব মিলিয়ে এই পাঁচটি জেলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে। এবং ঘণ্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝড় হতে পারে।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জুনের শেষে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আগামী শনিবার থেকে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা জেলায় জেলায়। আজও উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ায় বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে জেলাগুলিতে ঘন্টায় ৩০-৪০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
আগামীকালের আবহাওয়া
আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, সকাল থেকেই প্রখর রোদের দেখা মিলবে। সঙ্গে থাকবে অস্বস্তিকর ভ্যাপসা গরম। তবে বিকেলের দিকে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল। সঙ্গে ৩০-৪০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে।