ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: গায়ে জ্বালা ধরানো তীব্র তাপপ্রবাহ এর স্পেলের থেকে মুক্তি পেয়েছে রাজ্যবাসী। অবশেষে আকাশ ঘন কালো করে নেমে এসেছে বারিধারা। গত দুইদিনের বৃষ্টিতে তাপমাত্রার পারদ ৪২-৪৩ ডিগ্রী থেকে এক ধাক্কায় কমিয়ে নিয়ে আসল ৩২-৩৩ এ। তবে এই ঘূর্ণাবর্ত এখনই রাজ্য ছেড়ে যাচ্ছে না। এখনও বেশ কয়েকদিন বিরাজ করবে এই রাজ্যে। আজও কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বৈশাখের শেষ বেলায় অবশেষে আগমন ঘটল কালবৈশাখীর। গোটা এপ্রিল জুড়ে ভয়ংকর গরমের উত্তেজনা ছড়িয়ে শেষপর্যন্ত মে এর দ্বিতীয় সপ্তাহে শুরু হল মেঘের আনাগোনা। আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, এক অর্থাৎ বুধবার বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে ভিজতে পারে দক্ষিণের সব জেলা। পাশাপাশি ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝোড়ো হাওয়াও। সপ্তাহ জুড়ে বৃষ্টি হতে পারে এমনটাই পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তবে আগামী শুক্রবার বৃষ্টির পরিমাণ সর্বোচ্চ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
বুধেও দেখা মিলবে বৃষ্টির
আজ সকাল থেকেই আকাশ মেঘলা। রোদের তেজও বেশি নেই। আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দুই থেকে চার ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। আজ কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৩ ডিগ্রির ঘরে থাকতে পারে। এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২২.২ ডিগ্রি। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ৪.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস কম। পাশাপাশি বিকেলের দিকে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আলিপুর। সঙ্গে ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা।
ঘূর্ণাবর্তের উৎস
জানা গিয়েছে দুই ঘূর্ণাবর্তের কারণেই এক টুকরো স্বস্তি খুঁজে পেয়েছে রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গের এক দিকে বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে একটি ঘূর্ণাবর্ত। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের উপরেও আর একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে। এই দুই ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প গাঙ্গেয় বঙ্গের পরিমণ্ডলে ঢুকছে। তার ফলেই ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। পাশাপাশি বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়ার কারণে মৎস্যজীবীদের আগামী ১২ ঘণ্টা সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।