ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: কলকাতা মেট্রো যাত্রীদের সুবিধার্থে একের পর উদ্যোগ এবং পরিকল্পনাকে সাফল্যের শিখরে নিয়ে যাচ্ছে। তাইতো অফিস টাইম হোক কিংবা যেকোনো সময় যাত্রীদের কোনো নির্দিষ্ট গন্তব্যে দ্রুত পৌঁছোতে হলে একমাত্র ভরসা হয়ে উঠছে মেট্রোর ওপর। তাইতো কলকাতার লাইফলাইন বলা হয়ে থাকে কলকাতা মেট্রোকে। সম্প্রতি কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষ গ্রিন লাইন অর্থাৎ হাওড়া ময়দান এসপ্ল্যানেড হয়ে ব্লু লাইন যেটি কিনা দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত বিস্তৃত, সেই প্রসঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ্যে আনল। যা একেবারে অবাক করে দিয়েছে যাত্রীদের।
যাত্রীদের সুবিধার্থে মেট্রোর নয়া তিনটি রুট চালু
সূত্রের খবর চলতি বছর গত 15 মার্চ থেকে কলকাতা মেট্রো তিনটি রুটে যাত্রী পরিষেবা শুরু করেছিল। এই তিনটি রুট হল গ্রিন লাইনের এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান (4.8 কিমি), অরেঞ্জ লাইনের কবি সুভাষ থেকে রুবি ক্রসিং অর্থাৎ হেমন্ত মুখোপাধ্যায় পর্যন্ত (5.4 কিমি) এবং পার্পল লাইনের সম্প্রসারিত অংশ তারাতলা-মাঝেরহাট (1.25 কিমি)। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে এই তিনটি রুটের মধ্যে সব থেকে বেশি যাত্রী সংখ্যা হল এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান লাইনে। কারণ একদিকে শহরতলির মানুষজন যেমন কয়েক মিনিটের মধ্যে হুগলি নদী পার করে চলে আসছেন কলকাতায়, তেমনই গ্রিন লাইনে সফর করে বহু যাত্রী আবার মেন লাইন বা ব্লু লাইন থেকে মেট্রো ধরে চলে যেতে পারেন দক্ষিণেশ্বর বা কবি সুভাষের দিকে ।
নয়া বিবৃতি জারি কলকাতা মেট্রো কর্তৃপক্ষের
জানা যায় শহর ও শহরতলি থেকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ কাজের জন্য কলকাতায় আসেন । ফলত তাঁরা হাওড়া, হুগলি, মেদিনীপুর-সহ আরও দূরদূরান্ত থেকে মানুষজন হাওড়া স্টেশনে এসে মেট্রো হয়ে শহরের অন্যত্র যাতায়াত করেন। আবার এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছে তারা গ্রিন লাইন হয়ে ব্লু লাইনে গিয়ে শহরের আরও অন্যান্য দিকে পৌঁছে যেতে পারেন। তাই গ্রিন লাইন হয়ে ব্লু লাইনে নির্ঝঞ্ঝাটে খুব দ্রুত পৌঁছতে নতুন এই প্রবেশদ্বারটি যাত্রীদের অনেকটাই সুরাহা করে দিয়েছে। আর এই আবহেই গতকাল কলকাতা মেট্রো এক বিবৃতি জারি করেছে।
আরও পড়ুনঃ এবার হু হু করে কমবে গ্রাহক, BSNL-র এক ঘোষণায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে Jio, Airtel
সূত্রের খবর, বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে নয়া পরিষেবা চালু হওয়ার পর থেকে গত 30 জুন পর্যন্ত গ্রিন লাইন থেকে ব্লু লাইনে যাতায়াতকারী যাত্রী সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় 29 লক্ষ। যা কলকাতা মেট্রোর ইতিহাসে এক উজ্জ্বল আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। আশা করা যাচ্ছে এই পরিষেবা আরও উন্নত হবে। এবং পাল্লা দিয়ে বাড়বে যাত্রী সংখ্যাও।