ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: এইমুহুর্তে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে একের পর এক দূর্নীতিমূলক কাণ্ডের মামলা হয়েই চলেছে কলকাতা হাইকোর্টে। তার মধ্যে রেশন ব্যবস্থা থেকে শুরু করে কয়লাচুরি কাণ্ড, গরু পাচার কাণ্ড, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মত মামলা অন্যতম। তবে এই আবহেই এবার জমি সংক্রান্ত আরও এক মামলার সঙ্গে মুখোমুখি হতে হল রাজ্য সরকারকে। নাম জুড়ল ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলির।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় ফিল্মসিটি তৈরির জন্য প্রয়াগ গ্ৰুপকে ৭৫০ একর জমি দিয়েছিল রাজ্য। সেই কারণে ওই জমির জন্য প্রাথমিক বরাদ্দ হিসেবে ২৭০০ কোটি টাকা বিনিয়োগও করে প্রয়াগ গ্ৰুপ। কিন্তু পরবর্তীকালে চিটফান্ড কাণ্ডে ওই সংস্থার নাম জড়ায়। যা নিয়ে বিস্তর রহস্যের জাল ছড়ায়। অভিযোগ ওঠে, আমানতকারীদের কাছ থেকে তোলা হয়েছিল ২৭০০ কোটি টাকা। সেটাই ফিল্মসিটি তৈরির জন্য বিনিয়োগ করেছিল প্রয়াগ গ্ৰুপ। এদিকে আমানতকারীদের টাকা ফেরাতে প্রয়াগ গ্ৰুপের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে সরকার।
এদিকে প্রয়াগ গ্রুপের চন্দ্রকোণার ৭৫০ একর জমিও ছিল। জানা যায় রাজ্য সরকার ওই জমির মধ্যে প্রায় ৩৫০ একর জমি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেয়। মাত্র ১ টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য লিজে দেওয়া হয়। যার ফলে রাজ্যের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন শেখ মাসুদ নামে এক আমানতকারী।
কী অভিযোগ উঠে এল?
অভিযোগকারীর আইনজীবী শুভাশিস চক্রবর্তী বিচারপতিকে জানান, “ রাজ্যের প্রয়াগ গ্ৰুপের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে আমানতকারীদের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা ছিল। সেই মতো চন্দ্রকোণার ওই জমি বিক্রি করে আমানতকারীদের টাকা ফেরানো দরকার বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু সরকার সেটা না করে সৌরভকে কারখানা তৈরি করতে এক টাকায় ৯৯৯ বছরের জন্য ওই জমির একটা বড় অংশ লিজে দিল। কী করে করল এটা?”
জানা গিয়েছে, সেই মামলার শুনানি হবে কলকাতা হাইকোর্টের চিটফাণ্ড সংক্রান্ত মামলার বিশেষ বেঞ্চে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে গত ১ বছর ধরে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায় ইস্পাত কারখানা তৈরি করবেন বলে নানা চর্চা চলছে। কিন্তু নির্দিষ্ট কোন জমিতে তিনি এই কারখানা বাস্তবে তৈরি করবেন তা নিয়েও নানা জল্পনা রয়েছে। আর সেই আবহেই কারখানা সংক্রান্ত মামলা উঠে এল কলকাতা হাইকোর্টে।