ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: লোকসভা ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই সরকারী কর্মীদের জন্য একের পর এক সুবিধা বাড়িয়েই চলেছে রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে হোমগার্ড সহ পুলিশদের বেতন বৃদ্ধি করা হয়েছিল। এমনকি সরকারী কর্মীদের স্বাস্থ্য স্কিম নিয়েও একাধিক পরিবর্তন করা হয়েছে। DA এর পরিমাণ কর্মীদের ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ১৪ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি আরো এক সুখবর নিয়ে আসা হল কর্মীদের জন্য।
গত জুন মাসেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অর্থ দফতর রাজ্য সরকারি কর্মীদের GPF সুদের হার নিয়ে এক নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল। রাইটার্স বিল্ডিংয়ের অর্থ দফরতের অফিস থেকে জারি হওয়া সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ত্রৈমাসিকে ৭.১ শতাংশ হারে জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের গচ্ছিত অর্থে সুদ পাবেন সরকারি কর্মীরা। এবার সেই জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড নিয়ে উঠে এল এক বড় আপডেট।
সরকারী কর্মীদের জন্য বড় সিদ্ধান্ত
সম্প্রতি রাজ্য সরকারী কর্মীদের জন্য GPF নিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন প্রিন্সিপ্যাল অ্যাকাউন্ট্যান্ট জেনারেল। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, এখন থেকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের আরও ভালো সুবিধা হবে। কারণ তাঁদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের বাৎসরিক রিপোর্ট শুধুমাত্র অনলাইনেই দেখতে পারবেন কর্মীরা। পশ্চিমবঙ্গের পিএজি অফিসের ওয়েবসাইটে গিয়ে কর্মীরা জিপিএফ স্টেটমেন্ট দেখতে এবং ডাউনলোড করতে পারবেন। আসলে প্রতি বছরই আগস্ট মাসেই জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের বাৎসরিক রিপোর্ট দেওয়া হয় থাকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের।
GPF স্টেটমেন্ট দেওয়ার ক্ষেত্রে নয়া নিয়ম!
GPF এ কত টাকা সঞ্চিত হচ্ছে বা তোলা হচ্ছে, এবং মোট কত টাকা তহবিলে আছে তার বিস্তারিত হিসেব দেওয়া হয়ে থাকে প্রিন্ট করা স্টেটমেন্টে। এবং সেই স্টেটমেন্ট ছাপিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠিয়ে দেওয়া হত কর্মীদের উদ্দেশে। কিন্তু এবার সেই নিয়মে খানিক রদবদল হতে চলেছে। এবার থেকে আর সেই স্টেটমেন্ট ছাপা অবস্থায় হাতে পাবেন না সরকারি কর্মীরা। সরাসরি অনলাইনেই দেখে নিতে পারবেন তাঁরা। অর্থাৎ আর কোনও হার্ড কপি নয়।
আরও পড়ুনঃ ৫০ হাজার টাকার উপর বেনিফিট, DA ছাড়াই কর্মীদের জন্যই বড় ঘোষণা রাজ্য সরকারের
শুধু তাই নয় শিক্ষা দফতরেও এবার খুশির হাওয়া। এখন থেকে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীদের জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা সরাসরি অনলাইনের মাধ্যমে স্যালারি অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। যেখানে আগে GPF থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাপ্য টাকা হাতে পেতে অনেক ঝক্কি পোহাতে হত শিক্ষকদের। সেখানে সেই সমস্যা এবার পুরোপুরি নির্মূল হতে চলেছে।