প্রীতি পোদ্দার, কোচবিহার: কোটা আন্দোলনের জেরে ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ এতটাই ভয়ংকর আকার ধারণ করেছিল যে, বাংলাদেশ সরকারের গদি একেবারে নড়ে ওঠে। এবং বাধ্য হয়েই চাপে পড়ে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা। আর পদত্যাগের কয়েক মুহূর্তের মধ্যেই দেশ ছেড়ে চলে আসেন ভারতে। রাজনৈতিক পরিস্থিতি এতটাই টালমাটাল হয়ে পড়েছে যে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে একেবারে উঠে পড়ে লেগেছে শেখ হাসিনার আওয়ামি লিগের সদস্যরা। আর এই আবহেই এবার পশ্চিমবঙ্গে ধরা পড়ল ৯ জন বাংলাদেশিকে।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত বৃহস্পতিবার রাতে, ৯ যুবককে নিউ কোচবিহার স্টেশনে ঘোরাফেরা করতে দেখে RPF এর মনে সন্দেহ জাগে। এবং তাঁদের আটক করা হয়। এবং ধৃতদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে যখন বাংলাদেশে সরকার পতনের পর টালমাটাল পরিস্থিতি তখন ভারতে প্রবেশের সময় সেই যুবকদের RPF বাঁধা দেয়। এরপর তাঁরা মেঘালয়ের পাহাড়ি ও জঙ্গল এলাকা দিয়ে আসার পর মানিকাচর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছিলেন বলেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গিয়েছে।
এছাড়াও RPF সূত্রে জানা গিয়েছে ধৃতরা প্রত্যেকেই, বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর থানা এলাকার বাসিন্দা। এবং তারা সকলেই আওয়ামি লিগের সদস্য ছিলেন। তদন্তের মাধ্যমে জানা গিয়েছে ধৃতদের নাম আবদুল করিম, শাহিন আলম, সাজিব মণ্ডল, জুয়েল মণ্ডল, মহম্মদ আলি, কামরুল ইসলাম, আব্বাস শেখ, সুমন হোসেন এবং রুকন মণ্ডল।
কেন পালিয়ে ভারতে প্রবেশ?
জানা যায় কোনো এক অজ্ঞাত দালালের মাধ্যমে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে তাঁরা অবৈধ পথ দিয়েই ভারতে প্রবেশ করেছিল। ধৃত কামরুলের দাবি, রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর বাংলাদেশে আওয়ামি লিগের কর্মী-সমর্থকদের উপর নানারকম অত্যাচার করা হচ্ছিল। এমনকি মেরে ফেলাও হয়েছিল বেশ কিছু সমর্থকদের। এই পরিস্থিতিতে তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই দীর্ঘ হাঁটা পথ এবং নদী পার হয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন। আর এই ঘটনায় রীতিমত অবাক করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে। তাই প্রশ্ন উঠছে ভারত বাংলাদেশের সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে।