ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: তিলোত্তমা কাণ্ডে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। প্রতিদিনই প্রায় রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দফায় দফায় হয়ে চলেছে সাধারণ নাগরিকদের অবস্থান বিক্ষোভ, মিছিল। যতদিন না পর্যন্ত আরজি কর কাণ্ডের সুবিচার চলছে ততদিন এই আন্দোলন চলবেই। বৃষ্টি, রোদ, জল উপেক্ষা করেই চলবে এই লড়াই।
দিন যত এগোচ্ছে এই আন্দোলনে মানব বন্ধনের রূপ এক দৃষ্টান্তমূলক উদাহরণ তৈরি করছে। নিম্নবিত্ত থেকে মধ্যবিত্ত সকলেই সামিল এই প্রতিবাদের ঝড়ে। টানা রিক্সা চালকদের পড়ে এবার প্রতিবাদের পথে পা বাড়ালেন একজন খবরের কাগজ বিক্রেতা। উপার্জনের সমস্ত টাকা আন্দোলনকারীদের দিয়ে দিলেন।
ডাক্তারদের পাশে কাগজ বিক্রেতা
কথা হচ্ছে অসিত রায়চৌধুরী সম্পর্কে। যিনি গত ৪২ বছর ধরে প্রতিদিন শিয়ালদহ থেকে কলেজ স্ট্রিট পর্যন্ত ঘুরে ঘুরে খবরের কাগজ বিক্রি করে আসছেন। তিনিই এবার সমস্ত উপার্জন দিয়ে দিলেন ডাক্তারদের। অসিত রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘আমি সোজা আরজি করে পৌঁছে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের কাছে গিয়ে বললাম, আমার সারা দিনের উপার্জনের ২২০ টাকা আপনাদের আন্দোলনে দিতে চাই। বদলে তাঁরা বলেন, এত পরিশ্রম করে উপার্জন করেছেন। এই টাকা কেন দেবেন? উত্তরে আমি জানাই, আপনারাও রাত জেগে একটা মেয়ের বিচার চেয়ে আন্দোলন করছেন। আপনাদের পাশে আছি। জানি এই টাকাটা খুব কম। তবু দিতে চাই।’’ তবে শুধু তিলোত্তমার এই আন্দোলন নয়। কলকাতার বুকে ঘটে চলা বেশ কয়েকটি আন্দোলনেও তিনি পা মিলিয়েছেন। পাশাপাশি সমাজের সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন।
চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পাশেও ছিলেন তিনি
২০২০ সালে করোনা-কালে যখন চারিদিকে লক ডাউন, তখন সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন অসিত। সে সময়ে সব পাইস হোটেল বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই মানুষের পাশে দাঁড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা খিচুড়ি রেঁধে গরিব মানুষদের খাওয়াতেন। তখন অসিত বাবু খিচুড়ি রান্নার জন্য চাল-ডাল কিনে দিয়েছিলেন মাঝেমধ্যে। এমনকি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের পাশেও ছিলেন তিনি। তাঁর বিশ্বাস একদিন ঠিক জুনিয়র ডাক্তার এবং সাধারণ মানুষের লড়াইয়ের সুবিচার মিলবে। তিলোত্তমার ধর্ষণকারীদের যজ্ঞ শাস্তি হবে।