আজ হবে বাংলা বন্ধ? বিজ্ঞপ্তি জারি নবান্নের

Published on:

Nabanna

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর কাণ্ড নিয়ে ধুন্ধুমার গোটা রাজ্য। মহিলাদের রাত দখলের লড়াই থেকে শুরু করে আরজি কর প্রাঙ্গণেও চলছে দেদার প্রতিবাদ এবং আন্দোলন। আর সেই প্রতিবাদকে ঘিরে এবার পথে নামতে চলেছে SUCI এবং বিজেপি। আজ ১২ ঘণ্টার বাংলা বনধ্ ডেকেছে SUCI এবং এরই সঙ্গে রাজ্যজুড়ে ২ ঘন্টার কর্মবিরতি আন্দোলনের ডাক দিয়েছে বিজেপি। তাই কর্মদিবসে এইরূপ বন্ধের পরিস্থিতি নিয়ে এবার ধন্দে পড়ল সাধারণ মানুষ। আর সেই ধন্দ কাটাতে এবার বড় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হল নবান্নর তরফ থেকে।

বন্ধের কারণে জেরবার হতে চলেছে নিত্যদিনের কর্মজীবন!

আসলে SUCI এর ডাকা বনধ্ আগাগোড়াই রাজ্যে তেমন কোনও প্রভাব পড়ে না। কারণ রাজ্যে SUCI- র কোনও বিধায়ক বা সাংসদ নেই। কিন্তু রাজ্যের প্রায় সর্বত্র তাঁদের অল্প বিস্তর সংগঠন রয়েছে। কিন্তু তাতেও খুব একটা প্রভাব পড়ে না। কিন্তু গেরুয়া শিবিরের ডাকা বনধ্ হয়ত কর্মজীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার জানিয়ে দেন, আজ বেলা ১১টা থেকে কলকাতা এবং জেলায় জেলায় আন্দোলন কর্মসূচি শুরু হবে। তাই তিনি সাধারণ মানুষের কাছে অনুরোধ করেছেন যে দুপুর ২টো থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত দোকানপাট এবং সমস্ত কর্মকাজ বন্ধ রাখতে। জানা গিয়েছে সুকান্তের পাশাপাশি বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ হাজির থাকবেন আগামিকালের কর্মসূচীতে। কিন্তু বন্ধ বিষয়ে এবার স্পষ্ট বক্তব্য পেশ করলেন মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা।

WhatsApp Community Join Now

নবান্নের বিজ্ঞপ্তিতে কী জানানো হয়?

গতকাল রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকা সেই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, ‘‘ এসইউসির ডাকা ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্‌ধ এবং বিজেপির দু’ঘণ্টার ‘কর্মবিরতির আবেদন’ এর জন্য রাজ্যে কোনোভাবে পরিবহণ পরিষেবা ব্যাহত হবে না। অন্য দিনগুলির মতোই শুক্রবারও যা। চলাচল স্বাভাবিক থাকবে। ইতিমধ্যেই স্টেট ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (এসটিএ)-র সচিবকে তা নিশ্চিত করতে সমস্ত বেসরকারি পরিবহণ অপারেটর এবং সমিতিগুলির সঙ্গে সমন্বয় করতে বলা হয়েছে। সমস্ত অপারেটরকেই পরিবহণ বিভাগের নির্দেশ যথাযথ ভাবে মেনে চলতে হবে।’’

এছাড়াও আজ দুই দলের বন্ধের ডাক কোনও ভাবে যাতে কর্মজীবনে প্রভাব না ফেলে সেই কারণে কর্মীদের সমস্ত অনুমোদিত ছুটি বাতিল করা হয়েছে। যদি কেউ ছুটি নিতে চায়, তাহলে তাঁকে যথাযোগ্য কারণ জানিয়ে ছুটি নিতে হবে। এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী দলগুলির ডাকা বনধ্ এইভাবেই পন্ড করেছিলেন। তিনি চান না এই বনধ্ সাধারণ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ও জীবিকায় প্রভূত প্রভাব পড়ে। এছাড়াও বনধ্-সংস্কৃতি রাজ্য সরকারের ‘নীতিবিরুদ্ধ’। সেই নীতি মেনেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন