ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসক এর ধর্ষণকাণ্ডে এমন ভয়ংকর পরিণতি নিয়ে রীতিমত বিক্ষোভে ফেটে পড়েছে গোটা দেশ। বলিউড থেকে টলিউড, ক্রিকেট দুনিয়া থেকে প্রবাসী বাঙালিরা, সকলের একটাই কথা ‘We Want Justice’। আর এই আবহে রাজ্য সরকারের থেকে পাওয়া দুর্গাপুজোর অনুদান এবার এক এক ফিরিয়ে দিচ্ছে অনেক পুজো কমিটি। সেই তালিকায় এবার উঠে এসেছে হুগলির তারকেশ্বরের আস্তারা গ্রামের একটি মহিলা পুজো কমিটি। যা নিয়ে হৈ হৈ পড়ে গেল খবরের শিরোনামে।
প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরেও রাজ্য সরকার প্রত্যেকটি ক্লাবকে সরকারি অনুদান দিয়ে থাকে। এবার পুজো কমিটিগুলির সরকারি অনুদান ৭০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৮৫ হাজার টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা করেছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে আরজি কর কাণ্ডে ঘটে যাওয়া এক মর্মান্তিক ঘটনায় এবার সেই অনুদানে যেন ভাঁটা পড়ল। সূত্রের খবর হুগলির ‘মা শরৎজননী দুর্গা উৎসব পূজা কমিটি’ নামে মহিলাদের ওই পুজো এ বার পাঁচ বছরে পা দিতে চলেছে। প্রত্যেকবার এই কমিটির মহিলারা নারীশক্তির আরাধনায় ধুমধাম করে আয়োজন করে। কিন্তু এবার পাঁচ বছরে পড়ার সেই আনন্দ কোথাও যেন থমকে গিয়েছে।
জ্যান্ত দুর্গার বিচারে অনুদান প্রত্যাহার মহিলা কমিটির!
গতকাল সন্ধ্যায় হুগলির এই মহিলা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে মোমবাতি জ্বালিয়ে আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদ জানানো হয় পুজো মণ্ডপের মাঠে। এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুদানের জন্য আবেদন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। ওই পুজো কমিটির সদস্য চৈতালি জানা বলেন, ‘আরজি করে যে নৃশংস ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার চাই। যে ভাবে জ্যান্ত দুর্গাকে মারা হয়েছে, তারই প্রতিবাদে আমরা এ বছর সরকারি অনুদান নেব না। অপরাধীদের কঠোর শাস্তি হওয়াটা খুবই প্রয়োজন।’
কী বলছেন কুণাল ঘোষ?
শুধু এই মহিলা পুজো কমিটি নয়, এর পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তরপাড়া শক্তি সংঘ পুজো কমিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় সরকারি অনুদানের ৮৫ হাজার টাকা প্রত্যাখ্যান করারও বার্তা দিয়েছে। তবে এই অনুদান প্রত্যাখান প্রসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন কুণাল ঘোষ। তিনি জানান ‘পুজো একটা অর্থনীতি। সেই অর্থনীতিকে সচল রাখতেই মুখ্যমন্ত্রীর ওই অনুদান ঘোষণা। যদি আপনারা তা প্রত্যাখ্যান করেন, তাহলে নিজেদের পকেটের টাকা দিয়ে পুজোর সঙ্গে জড়িত সকলকে সাহায্য করবেন।’