আরজি করের পর আনন্দপুরে, সাতসকালে উদ্ধার মহিলার ক্ষতবিক্ষত দেহ! তদন্তে পুলিশ

Published on:

anandapur

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তারি পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটে যাওয়া এক পাশবিক ঘটনায় গোটা দেশ উত্তাল। দফায় দফায় মেয়েদের রাত দখলের লড়াই জারি হয়েছে। হিংস্র হয়ে উঠছে নারী গোষ্ঠী। খালি একটাই দাবি ‘বিচার চাই, নারীদের সুরক্ষার বিচার চাই। ’ তবে এই এত আন্দোলন, এত বিক্ষোভের মাঝে যেখানে সকলেই ক্ষিপ্ত সেখানে এই আবহে ফের কলকাতায় এক ধর্ষণের অভিযোগ উঠে এল।

ফের ধর্ষণের ঘটনা কলকাতায়

সূত্রের খবর আজ অর্থাৎ বুধবার সাতসকালে আনন্দপুরে অজ্ঞাত পরিচয় এক মহিলার দেহ উদ্ধার করা হয়েছে স্থানীয় এলাকার মানুষদের সহায়তায়। যার ফলে ব্যাপকউত্তেজনা ছড়িয়েছে দক্ষিণ কলকাতার এই এলাকায়। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, EM বাইপাস থেকে নোনাডাঙা চিনা মন্দিরের দিকে যে রাস্তা গিয়েছে সেখানকার ঝোপের মধ্যে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেই মহিলার রক্তাক্ত দেহ। শরীরে মিলেছে বহু আঘাতের চিহ্ন। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, মহিলাকে খুন করে সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।

WhatsApp Community Join Now

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, সাড়ে ৫টা নাগাদ ওই স্থান দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেই সময় সেখানে কোনও দেহ পড়ে ছিল না। কিছুক্ষণ পর, ৬টা নাগাদ তাঁরা দেহ দেখতে পান। এরপর আনন্দপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে নিয়ে গিয়েছে।

নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য একগুচ্ছ নিয়ম

এদিকে মহিলাদের নিরাপত্তা বিষয়ে গত শনিবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় একগুচ্ছ নির্দেশিকা প্রকাশ করেছিলেন। যেখানে তিনি জানিয়েছেন মহিলাদের যথাসম্ভব কম নাইট ডিউটি দিতে হবে। যদি মহিলাদের রাতে কাজের দায়িত্ব পড়ে সেক্ষেত্রে সেই ডিউটি এমনভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে বেশ কয়েকজন মহিলাদের টিম একসঙ্গে সেই সময় কাজ করে। একা কোনও মহিলাকে নাইট ডিউটিতে দেওয়া যাবে না। তবে সরকারের তৈরি এই একগুচ্ছ নির্দেশিকা একদিক থেকে এটাই প্রমাণ করছে যে রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ রাজ্যের মেয়েদের রাতের নিরাপত্তা প্রদান করতে।

অন্যদিকে নবান্নে এদিন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এও জানিয়েছেন যে সরকার খুব শীঘ্রই একটি বিশেষ মোবাইল ফোন অ্যাপ তৈরি করতে চলেছে, যেখানে অ্যালার্ম ডিভাইস দেওয়া থাকবে। প্রত্যেক কর্মরত মহিলাকে সেটা ডাউনলোড করতে হবে নিজেদের ফোনে। জানা গিয়েছে এই ডিভাইস স্থানীয় থানা বা পুলিশ কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এবার দেখার বিষয় এই নয়া নির্দেশিকা বা পরিকল্পনার মাধ্যমে কতটা সক্ষম হতে পারবে সরকার, নারীদের নিরাপত্তা দিতে।

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন