অপেক্ষার অবসান, হাইকোর্টের রায়ে জট খুলল প্রাথমিক নিয়োগের! মুখে হাসি চাকরিপ্রার্থীদের

Published on:

DPSC

ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: প্রায় ১৫ বছর আগে শিক্ষকতা করার স্বপ্ন মনের মধ্যে বুনে চাকরির পরীক্ষায় বসেছিলেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। প্যানেলও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পরে তৃণমূল সরকার ওই প্যানেল বাতিল করে দেয়। এবং ২০১৫ সালে নতুনভাবে পরীক্ষা শুরু হয়। কিন্তু সেই পরীক্ষার ভিত্তিতে যে প্যানেল তৈরি হয়েছিল তাতে স্বজনপোষণ এর অভিযোগ ওঠায় মামলা ওঠে হাইকোর্টে।

হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল

আর সেই মামলায় অবশেষে দোষ স্বীকার করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। তাঁরা জানিয়েছেন, ২০০৯-এ প্রাথমিকের নিয়োগে উত্তর ২৪ পরগনায় দুর্নীতি হয়েছে। আর সেই শুনানিতে ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এর কথা শুনে সরাসরি বিচারপতি প্রশ্ন করেন, ‘কী চান? তদন্ত হোক? না বোর্ড চাকরি দেবে?’ তার জবাবে কাউন্সিল জানায়, ‘আমরা চাকরি দিতে প্রস্তুত।’ তারপরেই শুরু হয় এই প্রক্রিয়া।

WhatsApp Community Join Now

গত ২৫ এপ্রিল হাইকোর্টের তরফে উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিলকে নির্দেশ দেওয়া হয় এই যে আগামী ২ মাসের মধ্যে হাইকোর্টে আবেদনকারী ৮০০ প্রার্থীকে চাকরি দিতে হবে। এবার সেই নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করল উত্তর ২৪ পরগনা প্রাইমারি ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল। গত বৃহস্পতিবার, প্রাথমিকে নিয়োগের ৭৯৪ জনের নামের তালিকা অর্থাৎ মেরিট লিস্ট প্রকাশ করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। অবশেষে স্বস্তি পেল মামলাকারীরা।

অবশেষে আনন্দের হাসি মামলাকারীদের!

এই প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান দেবব্রত সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মেরিট লিস্ট প্রকাশ করেছি। যেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, সেই মতো আমরা সবটাই করছি।’ এছাড়াও তিনি বলেন, ‘মেরিট লিস্টের পর আমরা এবার প্যানেল তৈরি করা হবে। তা কমিশনার অব স্কুল এডুকেশনকে পাঠানো হলে চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরেই আমরা অ্যাপোয়নমেন্ট দিতে পারব। এক্ষেত্রে যেমন নির্দেশ রয়েছে তেমনই হবে। আমাদের কাছে নির্দিষ্ট সময় অবধি যতজন আবেদনকারী এসেছিলেন তাঁদের নামেরই তালিকা বের হয়েছে।’

বাছাই করা গুরুত্বপুর্ন খবর পেতে গ্রুপে যুক্ত হোন