এক স্কুলেই চাকরি গেল ৩৬ জন শিক্ষকের! বড় ধাক্কা শিক্ষা ব্যবস্থায়! গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্ট স্কুল সার্ভিস কমিশন এর মামলায় এক ঐতিহাসিক রায় দান করেছে। এক দিনেই চাকরি চলে গিয়েছে প্রায় ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষকের। যার জেরে সমস্যায় পড়েছে স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা। হাইকোর্টের এই রায় নিয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে চলছে জোর চর্চা। যার মধ্যে রাজনৈতিক তরজাও বেশ উল্লেখযোগ্য। আর সেই চর্চায় এক অন্যতম বিষয় হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের অর্জুনপুর হাই স্কুল।
একই স্কুলে চাকরি বাতিল ৩৬ জনের!
স্কুলের পড়ুয়ার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। তবে দেখা গিয়েছে সেই অনুপাতে শিক্ষক বেশি না থাকলেও পার্শ্বশিক্ষকদের সহায়তায় ৬০ জন স্থায়ী শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নিয়ে ভালই চলছিল স্কুল। কিন্তু এবার সেই পঠনপাঠনে দেখা দিল চির। সোমবার কলকাতা হাই কোর্টে রায়ে চাকরিহারা হলেন ওই স্কুলেরই ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। একসঙ্গে এত শিক্ষকের চাকরি যাওয়ায় চিন্তায় পড়েছেন কর্তৃপক্ষ থেকে পড়ুয়ারা। ছেলে মেয়েদের ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবেই চিন্তায় মগ্ন অভিভাবকেরাও।
চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের মন্তব্য
স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধানশিক্ষকের কথায়, চাকরি গিয়েছে প্রায় ১০ হাজারের মতো পড়ুয়ার। এক সঙ্গে এত জন শিক্ষকের চাকরি চলে গেলে স্কুল চলবে কী ভাবে!’ এছাড়াও তিনি জানান, চাকরি যাওয়া ওই ৩৬ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার মধ্যে ২০ জন ওই স্কুলেই যোগদান করেছিলেন। বাকি ১৬ জন বিভিন্ন স্কুল থেকে বদলি হয়ে এসেছিলেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই মামলায় বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ সাব্বির রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেয়। জানা গিয়েছে সুপার নিউমেরিক পোস্টে যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁদের সুদ সমেত বেতনও ফেরত দিতে হবে। সেক্ষেত্রে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে চার সপ্তাহ।