ইন্ডিয়া হুড ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় রেমালের ধাক্কায় গত রবিবার বিশাল ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়েছে গোটা রাজ্যকে। পটল থেকে শসা, আম থেকে পান বাংলার ফসল ভাণ্ডারের একাংশ তছনছ হয়ে গিয়েছে ঝড়ের তাণ্ডবে। বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকার সবজি চাষ ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। একই অবস্থা হুগলির সিঙ্গুর, হাওড়ার গ্রামীণ এলাকার চাষবাসেরও। শুধু কি চাষবাস, ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয়েছে মৎস্যজীবীদের একাংশ।
রুপোলি শস্যের চাহিদা বাজারে!
সামনেই বর্ষা আসতে চলেছে, তাইতো বাজারে বাজারে কড়া নজর রাখছে মাছ প্রিয় বাঙালিরা। কারণ এখনই তো বাজারে মাছের রাজা ইলিশের আগমনের সময়। কিন্তু সেই আনন্দে খানিক ভাটার ছায়া দেখা মিলল। গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার জন্য মৎস্যজীবীরা প্রস্তুতি নেওয়া শুরু করলেও মাঝে সেই প্রস্তুতির খানিক ব্যাঘাত ঘটে। কারণ হল ঘূর্ণিঝড় রেমাল। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা অনুযায়ী গত কয়েকদিন সমুদ্রে যাওয়ার নিষেধাজ্ঞা ছিল মৎস্যজীবীদের। তাই ইলিশ ধরার প্রস্তুতিতে খানিক সমস্যায় পড়েন তাঁরা।
প্রস্তুতি নিচ্ছে মৎস্যজীবীরা
তবে মাথায় হাত দিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। সূত্র মাধ্যম জানা গিয়েছে আগামী ১৪ জুন গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে যাবে মৎস্যজীবীরা। কারণ ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে যাওয়ায় আবহাওয়া অনুকূল হচ্ছে উপকূলে। ফলে দেখা মিলবে ইলিশের। সেই কারণে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য সবরকম প্রস্তুতি নিচ্ছে মৎস্যজীবীরা। ট্রলার থেকে শুরু করে মাছ ধরার জাল সবকিছু পরিপাটি করে গুছিয়ে নিতে চলেছে তাঁরা। যাতে মাছ ধরার মরশুমে কোনোওরকম অসুবিধা না হয় সেজন্য।
আরও পড়ুনঃ DA আন্দোলনকারীদের পক্ষে বিরাট রায় হাইকোর্টের, খুশির হাওয়া সরকারি কর্মীদের মধ্যে
বেশ কিছু জায়গায় নৌকা ডুবে গেলেও সেগুলিকে তুলে আনা হচ্ছে। এমনকি বন্যায় জাল, ট্রলারের ক্ষতি হলেও অনেকটা সামলে নিয়েছে মৎস্যজীবীরা। তবে এইমুহুর্তে আবহাওয়ার পরিস্থিতি দেখে বেজায় খুশি তাঁরা। আশা করা যাচ্ছে ট্রলার ভর্তি ইলিশ নিয়ে আসা হবে বঙ্গে।